ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

সিনহা হত্যা: পুলিশের ৪ সদস্য ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

আলোর জগত ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় জেলা কারাগার থেকে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।সাড়ে ১১টার দিকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম। রিমান্ডে নেয়া ৪ পুলিশ সদস্য হলেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। এ মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৮ জন ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম জানান, এই পুলিশ সদস্যদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আজ তাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এর আগে পুলিশের অপর তিন সদস্য ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়।

লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও প্রদীপ রাজি হননি। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএন এর ৩ সদস্যসহ এ পর্যন্ত ৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সিনহা হত্যা: পুলিশের ৪ সদস্য ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

আপডেট টাইম : ০৪:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় জেলা কারাগার থেকে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।সাড়ে ১১টার দিকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম। রিমান্ডে নেয়া ৪ পুলিশ সদস্য হলেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। এ মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৮ জন ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম জানান, এই পুলিশ সদস্যদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর প্রেক্ষিতে আজ তাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এর আগে পুলিশের অপর তিন সদস্য ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়।

লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও প্রদীপ রাজি হননি। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএন এর ৩ সদস্যসহ এ পর্যন্ত ৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।