ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালাবো : প্রধানমন্ত্রী

আলোর জগত ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালাবো। আজ বৃহস্পতিবার দেশের ১৮ জেলার ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইনেরও উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ জরুরি। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি। তবুও ২০২১ সালের মধ্যে পুরো দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে। জনগণের স্বার্থে সরকার এ খাতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নয়; দেশব্যাপী সুষম উন্নয়ন করে যাচ্ছে। তারই ধারবাহিকতা গ্রামের মানুষের কাছে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। শুধু বাতি জ্বেলে বসে থাকা নয়। বিদ্যুৎ থাকলে কর্মসংস্থানের ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহক বাড়িয়েছি। সব জায়গায় যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছায় সেজন্য সৌরবিদ্যুতের উদ্যোগ নেওয়া হয় বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালবো।

২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও যাতে বিদ্যুৎ পায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দেখা যেতো বাজেটের আগে গোপালগঞ্জের জন্য অনেক উন্নয়নের কথা বলা হতো। কিন্তু বাজেটের সময় দেখা যেতো সেই টাকা কোথায় জানি চলে গেছে। গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ পেতাম না। জেনারেটর চালিয়ে বাতি জ্বালতে হতো। আমরা সেভাবে কোনও জেলার উন্নয়ন করি না। তার একটি দৃষ্টান্ত আজ দেখা যাবে। বগুড়া জেলায় ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হচ্ছে। এছাড়া ওই জেলার মহাস্থানগড় ও শেরপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন। মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ২৭টি জেলার জনপ্রতিনিধিরাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেছেন। নতুন করে ৩১টি উপজেলা উদ্বোধনের পর মোট ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এলো। এর ফলে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালাবো : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:৫২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালাবো। আজ বৃহস্পতিবার দেশের ১৮ জেলার ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইনেরও উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ জরুরি। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি। তবুও ২০২১ সালের মধ্যে পুরো দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে। জনগণের স্বার্থে সরকার এ খাতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নয়; দেশব্যাপী সুষম উন্নয়ন করে যাচ্ছে। তারই ধারবাহিকতা গ্রামের মানুষের কাছে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। শুধু বাতি জ্বেলে বসে থাকা নয়। বিদ্যুৎ থাকলে কর্মসংস্থানের ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহক বাড়িয়েছি। সব জায়গায় যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছায় সেজন্য সৌরবিদ্যুতের উদ্যোগ নেওয়া হয় বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালবো।

২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও যাতে বিদ্যুৎ পায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দেখা যেতো বাজেটের আগে গোপালগঞ্জের জন্য অনেক উন্নয়নের কথা বলা হতো। কিন্তু বাজেটের সময় দেখা যেতো সেই টাকা কোথায় জানি চলে গেছে। গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ পেতাম না। জেনারেটর চালিয়ে বাতি জ্বালতে হতো। আমরা সেভাবে কোনও জেলার উন্নয়ন করি না। তার একটি দৃষ্টান্ত আজ দেখা যাবে। বগুড়া জেলায় ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হচ্ছে। এছাড়া ওই জেলার মহাস্থানগড় ও শেরপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন। মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ২৭টি জেলার জনপ্রতিনিধিরাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেছেন। নতুন করে ৩১টি উপজেলা উদ্বোধনের পর মোট ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এলো। এর ফলে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবে।