আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি মাসের শুরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিলো লেবাননের রাজধানী বৈরুত। ওই ঘটনা তদন্তে চলতি সপ্তাহের শেষে সেখানে যাচ্ছে এফবিআইর তদন্তকারীদের একটি দল।
বৈরুতে বিস্ফোরণ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি ডেভিড হেল। তিনি জানান, লেবানিজ কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে বিস্ফোরণের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে তদন্তে অংশ নিচ্ছে এফবিআই দল। গতকাল শনিবার বৈরুত বন্দর পরিদর্শন করেছেন ডেভিড হেল। সেখান থেকে ফিরে তিনি বলেন, আমরা এমন কোনো যুগে ফিরে যেতে চাই না যেখানে লেবাননের বন্দর বা সীমান্তে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
জানা গেছে, এই তদন্তে লেবাননের নেতৃত্বে ফরাসি তদন্তকারীরাও অংশ নিতে যাচ্ছে।
ডেভিড আরো বলেন, বিস্ফোরণ নিয়ে আমরা সত্যিই একটি পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করতে চাই। আমি জানি সবার দাবি এখন এটাই।
এর আগে, গত ৪ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকেলে লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের একটি বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে ২২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজারের বেশি মানুষ। গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৩ লাখ মানুষ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে ভূমিকম্পের মতো কেঁপে ওঠে পুরো শহর। এছাড়া ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে এক হাজার পাঁচশ’ কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন।
উল্লেখ্য, লেবাননের বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, বৈরুত বন্দরে যে রাসায়নিক দ্রব্য জমা রাখা আছে সে বিষয়ে দেশটির শীর্ষ নেতা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানতেন। সরকারের এই খামখেয়ালি মনোভাব ভালোভাবে গ্রহণ করেনি জনগণ। ফলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসে হাজারো মানুষ। তাদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের মন্ত্রিপরিষদ।