ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

আলোর জগত ডেস্ক: উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ইপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর উড়িষ্যা-গাঙ্গেয় পাশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় দূর্বল থেকে মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে।

আগামী দুই দিনে বা ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের মতো দিনের তাপমাত্রাও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক দিয়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৪ শতাংশ। আজ শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ৩৪ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে।

গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৩৮ মিলিমিটার। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গল, দিনাজপুরের সৈয়দপুর, নীলফামারীর ডিমলা, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

আপডেট টাইম : ০৭:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক: উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ইপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর উড়িষ্যা-গাঙ্গেয় পাশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় দূর্বল থেকে মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে।

আগামী দুই দিনে বা ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের মতো দিনের তাপমাত্রাও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক দিয়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৪ শতাংশ। আজ শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ৩৪ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে।

গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৩৮ মিলিমিটার। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গল, দিনাজপুরের সৈয়দপুর, নীলফামারীর ডিমলা, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।