আলোর জগত ডেস্ক: বোরকা পরা অবস্থায় রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পালিয়ে থাকতে চুলের কালো রং করে এবং গোঁফ কেটে তিনি চেহারা বদলের চেষ্টা করেন। ভারতে পালিয়ে গিয়ে সাহেদ আত্মগোপন করতে মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন র্যাবের কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে অস্ত্রসহ সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, বোরকা পরে শাহেদ নৌকাযোগে পালানোর চেষ্টা করছিলো।
এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ অপরাধের দায় স্বীকার করেছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
শাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনার পর সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে শাহেদকে ধরার জন্য মঙ্গলবার মৌলভীবাজার অভিযান চালানো হয়েছিলো। শাহেদের প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগী রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। সেই মামলায় ৮ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন সাহেদ করিম।