স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘদিন পর পুরনো ফর্ম ফিরে পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। নিজে তো এক গোল করলেনই, দুই সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরও দুটি। রোনালদোর এমন নৈপুণ্যে বড় জয় পেল জুভেন্টাস। ইতালিয়ান সিরি আতে লিসের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছে আটবারের এই চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার রাতে জুভেন্টাসের জয়ে রোনালদো একটি গোল করেন, আর পাওলো দিবালা ও গঞ্জালো হিগুয়াইনের গোলেও অবদান রাখলেন তিনি। এই জয়ে সাত পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষস্থান আরও দৃঢ় করল জুভেন্টাস।
আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে প্রথমার্ধে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয় লিস। যদিও অতিথি লিস প্রথমার্ধেই দশ জনের দলে পরিণত হয়। ৩২তম মিনিটে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে জুভেন্টাসের রদ্রিগো বেস্তাসুরকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন লিসের ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফাবিও লুসিওনি।
চতুর্থ মিনিটে আন্দ্রেয়া রিস্পোলির শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ১৬তম মিনিটে ফরোয়ার্ড মার্কো মানকোসু দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন। তার শট সহজেই লুফে নেন জুভ গোলরক্ষক ভোইচেখ স্ট্যান্সনি।
প্রথমার্ধের ৪১তম মিনিটে দিবালার কর্নার থেকে পাওয়া বল লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন রোনালদো। এর দুই মিনিট পর পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের ক্রসে গোলমুখে বল পেয়েছিলেন ফেদেরিকো বার্নারদেস্কি। পা ছোঁয়ালেই গোল! তবে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন তিনি। স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়া অসাধারণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু অসাধারণ শটটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। এর ফলে গোলশূন্যতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। রোনালদোর বাড়ানো বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকেই বা পায়ের শটে জালে জড়ান দিবালা। এর নয় মিনিটের মাথায় পেনাল্টি শটে নিজে গোল করেন রোনালদো। ডি-বক্সে নিজেই ফাউলের শিকার হয়েছিলেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। চলতি লিগে এ নিয়ে ২৩টি গোল করলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
দিবালার বদলি হিসেবে মাঠে নামা হিগুয়াইন ৮৩তম মিনিটে দলকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন। রোনালদোর ব্যাক হিল থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের মাঝামাঝি থেকে লক্ষ্যে পাঠাতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার।
এর দুই মিনিট পর জুভেন্টাসের স্কোরলাইন ৪-০ করেন নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্ডার ডি লিট। সতীর্থ দগলাস কস্তার কাছ থেকে বল পেয়ে হেডে জালে বল জড়ান ডাচ এই ডিফেন্ডার।
করোনা সংকট পরবর্তী লিগের খেলায় টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস। ২৮ ম্যাচে ২২ জয় ও তিন ড্রয়ে জুভেন্টাসের অর্জন ৬৯ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাৎসিও। সমান ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে ইন্টার মিলান তিনে ও ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে আতালান্তা চারে অবস্থান করছে।