আলোর জগত ডেস্কঃ মহামারী রূপ নেয়া করোনা ভাইরাস তার মরণ ছোবল হানছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বেই। প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শুধু আক্রান্ত রোগী থেকেই নয় মৃতদেহ থেকেও ছড়িয়ে পড়ে। তাই মৃত ব্যক্তিকে নিরাপত্তামূলক কোনও ব্যবস্থা ছাড়া পরিষ্কার করা বা গোসল দেয়া যাবে না। শনিবার (২১ মার্চ) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) করোনায় মৃতের দাফন বা সৎকার সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে সংস্থাটির এ নির্দেশনায় হাসপাতাল বা বাড়ি থেকে মৃতদেহ সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরিবহন এবং দাফন বা সৎকার পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপে কী কী করতে হবে তার বিবরণ আছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত বা সন্দেহজনক কেউ মারা গেলে প্রথমে অবশ্যই আইইডিসিআরকে জানাতে হবে। এরপর চার সদস্যের একটি দল সম্পূর্ণ সুরক্ষা পোশাক পরে মরদেহর দাফন বা সৎকারকার্যে কাজ করতে আসবে। তারা ঘটনাস্থলে আসা পর্যন্ত মৃতদেহ প্লাস্টিকের কাভার দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে। এ সময় চার সদস্যের দলের সঙ্গে মৃতের পরিবারের আলোচনা করে নিতে হবে তারা কোথায় দাফন করতে চায়।
মরদেহের গোসল করানো যাবে না উল্লেখ করে আইইডিসিআরের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে- কিন্তু যদি পরিবারের অনুরোধ থাকে তাহলে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম বা পানি ছাড়া অজু করানো যাবে। কাফনের কাপড়ের বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, সেলাইবিহীন সাদা সুতি কাপড় কাফনের কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে কাফনের কাপড় প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে তারপর মৃতদেহ রাখতে হবে এবং দ্রুত ব্যাগ বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের স্থানে নিয়ে যেতে হবে।
নির্দেশনায় করোনা ভাইরাসে মৃত বা সন্দেহজনক মৃতের ময়নাতদন্ত করতেও নিষেধ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, মৃতদেহ যে গাড়িতে করে নেয়া হবে তাতে অবশ্যই দুটি অংশ থাকতে হবে। যে অংশে মৃতদেহ থাকবে সে অংশে কেউ অবস্থান করতে পারবে না। পরিবহনের পর গাড়ি অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করতে হবে। দাফনের সময় মৃতদেহের ব্যাগ কোনোভাবেই খোলা যাবে না।
দাফন সম্পন্ন হবার পর কবরের আশপাশ উপযুক্ত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কারও করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। এ ছাড়া ওই ব্যক্তি যে স্থানে মারা গেছেন সে স্থানটিও দ্রুততার সঙ্গে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।