ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

করোনা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য ডব্লিউএইচও’র কড়া সতর্কবার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নাকাল পুরো বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

ওই  প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রায় ৫০০ ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ড়্গেত্রপাল সিং বলেন, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ভাইরাস যেন আরও মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিসত্বর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।  বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটি যদিও একটি ইঙ্গিত যে ভাইরাস সংক্রমণবিষয়ক নজরদারি কার্যকরভাবে হচ্ছে, তবে কভিড-১৯ প্রতিহত করতে যে আমাদের আরও জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে সেটিও স্পষ্ট।

খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ডবিস্নউএইচও রোগ শনাক্তকরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা, আইসোলেশন ও রোগীর সঙ্গে কারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের শনাক্তের ওপর জোর দিচ্ছে। ড়্গেত্রপাল সিং হাত ধোয়া, হাঁচি ও কাশি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, শুধু এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে যদি ভাইরাস ছড়িয়েই পড়ে, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে দেশগুলোকে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন জরুরি অবস্থায় নেওয়া পদক্ষেপের পরিধি এবং গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যসেবা এবং হাসপাতালের নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন হবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সামান্য আক্রান্তদের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত আইসোলেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের ৮টিতে কভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে ১৭৭, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৪, ভারতে ১২৫, শ্রীলঙ্কায় ১৯, মালদ্বীপে ১৩, বাংলাদেশে ১৪, নেপাল ও ভুটানে একজন করে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

করোনা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য ডব্লিউএইচও’র কড়া সতর্কবার্তা

আপডেট টাইম : ০২:৫৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নাকাল পুরো বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

ওই  প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রায় ৫০০ ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ড়্গেত্রপাল সিং বলেন, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ভাইরাস যেন আরও মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিসত্বর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।  বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটি যদিও একটি ইঙ্গিত যে ভাইরাস সংক্রমণবিষয়ক নজরদারি কার্যকরভাবে হচ্ছে, তবে কভিড-১৯ প্রতিহত করতে যে আমাদের আরও জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে সেটিও স্পষ্ট।

খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ডবিস্নউএইচও রোগ শনাক্তকরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা, আইসোলেশন ও রোগীর সঙ্গে কারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের শনাক্তের ওপর জোর দিচ্ছে। ড়্গেত্রপাল সিং হাত ধোয়া, হাঁচি ও কাশি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, শুধু এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে যদি ভাইরাস ছড়িয়েই পড়ে, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে দেশগুলোকে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন জরুরি অবস্থায় নেওয়া পদক্ষেপের পরিধি এবং গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যসেবা এবং হাসপাতালের নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন হবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সামান্য আক্রান্তদের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত আইসোলেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের ৮টিতে কভিড-১৯ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে ১৭৭, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৪, ভারতে ১২৫, শ্রীলঙ্কায় ১৯, মালদ্বীপে ১৩, বাংলাদেশে ১৪, নেপাল ও ভুটানে একজন করে।