ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক :  জিম্বাবুয়কে হারিয়ে ইতিহাস সৃস্টি করলো বাংলাদেশ। ৩৯.১ ওভারে ১৫২ রানে আফ্রিকান প্রতিপক্ষকে অলআউট করে রেকর্ড ১৬৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে তারা সর্বোচ্চ ১৬৩ রানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালে ঢাকায়।

রোববার সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়ে লিটন দাসের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২১ রান করে বাংলাদেশ। যা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ রান। প্রচণ্ড গরমে কাহিল হওয়া লিটন ৩৭তম ওভারে ১২৬ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ছোটখাটো ঝড় বাংলাদেশকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

মিঠুন করেন ৪১ বলে ৫০ রান। ২৮ বলে ৩২ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও সাইফ ১৫ বল খেলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

বড় লক্ষ্য দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে বাংলাদেশের লেগেছে মাত্র ১০ বল। দ্বিতীয় ওভারে তিনাশে কামুনহুকামবেকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাতে ১ রানে বিদায় নেন ওপেনার, দলের স্কোরও ছিল একই।

অষ্টম ওভারের প্রথম বলে চামু চিভাভাকে এলবিডাব্লিউর আবেদন করে সফল হন সাইফ। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। তিনি বাঁচলেও ওই ওভারেই রিভিউ নিয়ে একটি উইকেট পান ডানহাতি ফাস্ট বোলার। রেগিস চাকাভার বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার না বলে দেন, এবার রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। ১১ রানে মাঠ ছাড়েন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান।

পরের ওভারে মাশরাফি মুর্তজা নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চিভাভার উইকেট। মিড অনে মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ নেন। ১০ রানে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। গত বিশ্বকাপে ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে শেষবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেন মাশরাফি। ৮ মাস পর মাঠে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট উদযাপন করলেন।

তাইজুল ইসলাম ৭ মাস পর মাঠে নেমেই ব্রেন্ডন টেলরের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে নেন। ১৫ বলে ৮ রান করে বোল্ড হন টেলর। ৪৪ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় ৪ উইকেট।

এরপর জিম্বাবুয়ে প্রতিরোধ গড়ে সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরের জুটিতে। স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করে ভেঙেছে এ জুটি। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন সিকান্দার, করেন ১৮ রান।

পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান মাধেভেরেকে। ৪৪ বলে ৫ চারে ৩৫ রান করে মাশরাফির হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান। ৮৪ রান করতেই ৬ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

১০৬ রানে জিম্বাবুয়ের সপ্তম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ রান আউট করে। নাজমুল হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের যোগসাজশে স্ট্রাইকার্স এন্ডে রিচমন্ড মুতুম্বামি আউট হন ১৭ রানে।

দুই ওভার পর ডোনাল্ড তিরিপানো ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। মাত্র ২ রান করেন তিনি। এরপর সাইফ তার শিকার বানান কার্ল মুম্বাকে ১৩ রানে বোল্ড করে। মাশরাফি তার সপ্তম ওভারে তিনোতেন্দা মুতুম্বোজিকে আউট করলে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০১:২৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক :  জিম্বাবুয়কে হারিয়ে ইতিহাস সৃস্টি করলো বাংলাদেশ। ৩৯.১ ওভারে ১৫২ রানে আফ্রিকান প্রতিপক্ষকে অলআউট করে রেকর্ড ১৬৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে তারা সর্বোচ্চ ১৬৩ রানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালে ঢাকায়।

রোববার সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়ে লিটন দাসের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২১ রান করে বাংলাদেশ। যা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ রান। প্রচণ্ড গরমে কাহিল হওয়া লিটন ৩৭তম ওভারে ১২৬ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ছোটখাটো ঝড় বাংলাদেশকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

মিঠুন করেন ৪১ বলে ৫০ রান। ২৮ বলে ৩২ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও সাইফ ১৫ বল খেলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

বড় লক্ষ্য দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে বাংলাদেশের লেগেছে মাত্র ১০ বল। দ্বিতীয় ওভারে তিনাশে কামুনহুকামবেকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাতে ১ রানে বিদায় নেন ওপেনার, দলের স্কোরও ছিল একই।

অষ্টম ওভারের প্রথম বলে চামু চিভাভাকে এলবিডাব্লিউর আবেদন করে সফল হন সাইফ। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। তিনি বাঁচলেও ওই ওভারেই রিভিউ নিয়ে একটি উইকেট পান ডানহাতি ফাস্ট বোলার। রেগিস চাকাভার বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার না বলে দেন, এবার রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। ১১ রানে মাঠ ছাড়েন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান।

পরের ওভারে মাশরাফি মুর্তজা নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চিভাভার উইকেট। মিড অনে মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ নেন। ১০ রানে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। গত বিশ্বকাপে ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে শেষবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেন মাশরাফি। ৮ মাস পর মাঠে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট উদযাপন করলেন।

তাইজুল ইসলাম ৭ মাস পর মাঠে নেমেই ব্রেন্ডন টেলরের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে নেন। ১৫ বলে ৮ রান করে বোল্ড হন টেলর। ৪৪ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় ৪ উইকেট।

এরপর জিম্বাবুয়ে প্রতিরোধ গড়ে সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরের জুটিতে। স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করে ভেঙেছে এ জুটি। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন সিকান্দার, করেন ১৮ রান।

পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান মাধেভেরেকে। ৪৪ বলে ৫ চারে ৩৫ রান করে মাশরাফির হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান। ৮৪ রান করতেই ৬ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

১০৬ রানে জিম্বাবুয়ের সপ্তম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ রান আউট করে। নাজমুল হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের যোগসাজশে স্ট্রাইকার্স এন্ডে রিচমন্ড মুতুম্বামি আউট হন ১৭ রানে।

দুই ওভার পর ডোনাল্ড তিরিপানো ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। মাত্র ২ রান করেন তিনি। এরপর সাইফ তার শিকার বানান কার্ল মুম্বাকে ১৩ রানে বোল্ড করে। মাশরাফি তার সপ্তম ওভারে তিনোতেন্দা মুতুম্বোজিকে আউট করলে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ে যায়।