ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রংপুরকে হারিয়ে জয় তুলে নিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

স্পোর্টস ডেস্ক:  বিপিএলের ৭ম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার নাঈম শেখের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করেছে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ফিফটির ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

আরো পড়ুন: ১৬ ডিসেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নাঈমের ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলেছিল রংপুর। জবাবে ৬ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

রংপুরের ছুড়ে দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ওয়ালটন আর আভিস্কা ফার্নান্দো। দুজনের জুটিতে আসে ৬৮ রান। ২৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ফার্নান্দো বিদায় নিলেও দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন ওয়ালটন।

দারুণ এক ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন ওয়ালটন। আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর শিকার হওয়ার আগে ওয়ালটনের ব্যাট থেকে আসে ঠিক ৫০ রান। দারুণ এই ইনিংসটি ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো।

ওয়ালটন যখন বিদায় নেন তখনও চট্টগ্রামের হাতে ছিল ৪৯ বল। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ রান করেন ইমরুল। ১৬ বলে ১৫ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নিলেও অন্য প্রান্তে হাল ধরে রাখেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

এরপর নাসির হোসেন মাত্র ৩ রান করে বিদায় নিলেও বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন ইমরুল। এই বাঁহাতি শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৩ বলের ইনিংসটি ৩ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো।

বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন রংপুরের লুইস গ্রেগরি। আর ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন নবী ও টম অ্যাবেল।

এর আগে রংপুরের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ রান তোলেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও নাঈম। তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে কেসরিক উইলিয়ামসের বলে ফিরে যান আফগানিস্তান তারকা শাহজাদ। এরপর টম আবেল ও জহুরুল ইসলামরা সুবিধে করতে পারনেনি। দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ১২ বলে ২১ রান করলেও উইলয়ামসের দ্বিতীয় শিকার হলে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অবশ্য উইকেটে অবিচল থাকেন নাঈম। ২৬ বলে তুলে নেন ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও ১৮তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৮ রান করেন।

চট্টগ্রাম বোলারদের মধ্যে কেসরিক উইলয়ামস ও রায়ান বার্ল দুটি করে উইকেট পান। এছাড়া রুবেল হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট দখল করেন।

এই নিয়ে ৩ ম্যাচে ২ জয় আর এক হারে চলতি আসরের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রাম। আর দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া রংপুর আছে একদম তলানিতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৬ উইকেটে জয়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ১৫৭/৮ (২০ ওভার)

(শাহজাদ ৯, নাঈম ৭৮, অ্যাবেল ১০, জহুরুল ৬, নবী ২১, গ্রেগরি ১১, নাদিফ ২, রিশাদ ১, আরাফাত ৩*, তাসকিন ১১*; রানা ১/৩৩, রুবেল ১/৩২, কেজরিক ২/৩৫, নাসির ০/১৩, বার্ল ১/২৪, মাহমুদউল্লাহ ১/১৭)।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১৫৮/৪ (১৮.২ ওভার)

(ওয়ালটন ৫০, অভিশকা ৩৭, ইমরুল ৪৪*, মাহমুদউল্লাহ ১৫, নাসির ৩, বার্ল ১*; আরাফাত ০/২৪, নবী ১/৩০, মোস্তাফিজ ০/২১, রিশাদ ০/২৯, গ্রেগরি ২/২৭, তাসকিন ০/১৪, অ্যাবেল ১/১১)।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

রংপুরকে হারিয়ে জয় তুলে নিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

আপডেট টাইম : ১১:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক:  বিপিএলের ৭ম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রেঞ্জার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার নাঈম শেখের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করেছে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ফিফটির ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

আরো পড়ুন: ১৬ ডিসেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নাঈমের ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলেছিল রংপুর। জবাবে ৬ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

রংপুরের ছুড়ে দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ওয়ালটন আর আভিস্কা ফার্নান্দো। দুজনের জুটিতে আসে ৬৮ রান। ২৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ফার্নান্দো বিদায় নিলেও দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন ওয়ালটন।

দারুণ এক ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন ওয়ালটন। আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর শিকার হওয়ার আগে ওয়ালটনের ব্যাট থেকে আসে ঠিক ৫০ রান। দারুণ এই ইনিংসটি ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো।

ওয়ালটন যখন বিদায় নেন তখনও চট্টগ্রামের হাতে ছিল ৪৯ বল। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ রান করেন ইমরুল। ১৬ বলে ১৫ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নিলেও অন্য প্রান্তে হাল ধরে রাখেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

এরপর নাসির হোসেন মাত্র ৩ রান করে বিদায় নিলেও বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন ইমরুল। এই বাঁহাতি শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৩ বলের ইনিংসটি ৩ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো।

বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন রংপুরের লুইস গ্রেগরি। আর ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন নবী ও টম অ্যাবেল।

এর আগে রংপুরের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ রান তোলেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও নাঈম। তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে কেসরিক উইলিয়ামসের বলে ফিরে যান আফগানিস্তান তারকা শাহজাদ। এরপর টম আবেল ও জহুরুল ইসলামরা সুবিধে করতে পারনেনি। দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ১২ বলে ২১ রান করলেও উইলয়ামসের দ্বিতীয় শিকার হলে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অবশ্য উইকেটে অবিচল থাকেন নাঈম। ২৬ বলে তুলে নেন ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির সুযোগ থাকলেও ১৮তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৫৪ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৮ রান করেন।

চট্টগ্রাম বোলারদের মধ্যে কেসরিক উইলয়ামস ও রায়ান বার্ল দুটি করে উইকেট পান। এছাড়া রুবেল হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট দখল করেন।

এই নিয়ে ৩ ম্যাচে ২ জয় আর এক হারে চলতি আসরের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রাম। আর দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া রংপুর আছে একদম তলানিতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৬ উইকেটে জয়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ১৫৭/৮ (২০ ওভার)

(শাহজাদ ৯, নাঈম ৭৮, অ্যাবেল ১০, জহুরুল ৬, নবী ২১, গ্রেগরি ১১, নাদিফ ২, রিশাদ ১, আরাফাত ৩*, তাসকিন ১১*; রানা ১/৩৩, রুবেল ১/৩২, কেজরিক ২/৩৫, নাসির ০/১৩, বার্ল ১/২৪, মাহমুদউল্লাহ ১/১৭)।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১৫৮/৪ (১৮.২ ওভার)

(ওয়ালটন ৫০, অভিশকা ৩৭, ইমরুল ৪৪*, মাহমুদউল্লাহ ১৫, নাসির ৩, বার্ল ১*; আরাফাত ০/২৪, নবী ১/৩০, মোস্তাফিজ ০/২১, রিশাদ ০/২৯, গ্রেগরি ২/২৭, তাসকিন ০/১৪, অ্যাবেল ১/১১)।