ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

কাশ্মীরের ১৪২ শিশু-কিশোর মুক্তি পেয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকাটি থেকে ১৪৪ জন নাবালককে আটক করা হয়। পরবর্তীতে এদের মধ্য থেকে ১৪২ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে বুধবার এক তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে জানায় উপত্যকাটির শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার ভারতের একটি গণমাধ্যম জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন কেড়ে নেয়ার পর উপত্যকাটি থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী অসংখ্য নাবালককে আটক করে নিয়ে যায় ভারতীয় সেনারা। সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমন এক আরজি পেশ করেন দুই শিশু অধিকার কর্মী। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নাবালক বিচার কমিটিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

তদন্তের পর বুধবার এক প্রতিবেদনে হাইকোর্টের নাবালক বিচার কমিটি জানায়, উপত্যকাটির বিশেষ মর্যদা বিলোপের পর সেখান থেকে ১৪৪ জন নাবালককে আটক করা হয়েছিলো। তারমধ্যে ১৪২ জনকে পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের ডিজি ও নিম্ন আদালত থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে তদন্ত কমিটি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জম্মুর আরএস পুরা ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের হারওয়ানে আটককৃত নাবালকদের জন্য দুটি হোম রয়েছে। গত ৫ আগস্ট থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর এস পুরার একটি হোমে ১০ জন নাবালককে আনা হয়েছিল। যাদের মধ্যে ৬ জন পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পায়। অন্যদিকে হারওয়ানের হোমে আনা হয়েছিল ৩৬ জন নাবালককে। যাদের মধ্যে পরবর্তীতে জামিন পেয়েছে ২১ জন।

তবে পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানান, নাবালক আটকের বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মীদের পেশ করা আরজির তথ্য মনগড়া। শুধু যেসব নাবালক আইন লঙ্ঘন করেছে তাদেকে আইন মেনে আটক করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা ৩৭০ ধারা সংবিধান থেকে বাতিল করে বিজেপি সরকার। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

কাশ্মীরের ১৪২ শিশু-কিশোর মুক্তি পেয়েছে

আপডেট টাইম : ০৫:৪৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকাটি থেকে ১৪৪ জন নাবালককে আটক করা হয়। পরবর্তীতে এদের মধ্য থেকে ১৪২ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে বুধবার এক তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে জানায় উপত্যকাটির শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার ভারতের একটি গণমাধ্যম জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন কেড়ে নেয়ার পর উপত্যকাটি থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী অসংখ্য নাবালককে আটক করে নিয়ে যায় ভারতীয় সেনারা। সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমন এক আরজি পেশ করেন দুই শিশু অধিকার কর্মী। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নাবালক বিচার কমিটিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

তদন্তের পর বুধবার এক প্রতিবেদনে হাইকোর্টের নাবালক বিচার কমিটি জানায়, উপত্যকাটির বিশেষ মর্যদা বিলোপের পর সেখান থেকে ১৪৪ জন নাবালককে আটক করা হয়েছিলো। তারমধ্যে ১৪২ জনকে পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের ডিজি ও নিম্ন আদালত থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে তদন্ত কমিটি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জম্মুর আরএস পুরা ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের হারওয়ানে আটককৃত নাবালকদের জন্য দুটি হোম রয়েছে। গত ৫ আগস্ট থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর এস পুরার একটি হোমে ১০ জন নাবালককে আনা হয়েছিল। যাদের মধ্যে ৬ জন পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পায়। অন্যদিকে হারওয়ানের হোমে আনা হয়েছিল ৩৬ জন নাবালককে। যাদের মধ্যে পরবর্তীতে জামিন পেয়েছে ২১ জন।

তবে পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানান, নাবালক আটকের বিষয়ে শিশু অধিকার কর্মীদের পেশ করা আরজির তথ্য মনগড়া। শুধু যেসব নাবালক আইন লঙ্ঘন করেছে তাদেকে আইন মেনে আটক করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা ৩৭০ ধারা সংবিধান থেকে বাতিল করে বিজেপি সরকার। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।