ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জি কে শামীম ও খালেদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আলোর জগত ডেস্কঃ  গোলাম কিবরিয়া শামীম চৌধুরী (জি কে শামীম) ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।আজ সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন :  আফগানিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমায় নিহত ৩৫

আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, সন্ত্রাসী ও মানি লন্ডারিং বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে বিএফআইইউ তা অনুসন্ধান করে। সম্প্রতি এসব অপরাধে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের হিসাবও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকালে তাদের হিসাবে টাকা জমা হবে কিন্তু উত্তোলন করতে পারবে না।

গত শুক্রবার নিকেতনের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় জি কে শামীমকে। তার অফিসে থাকা নগদ দেড় কোটি টাকা ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআরের কাগজ জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।

এর আগে বুধবার অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা রাখার অপরাধে খালেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং মামলা করা হয়। এর মধ্যে মাদক ও অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় মহানগর গোয়েন্দাকে (ডিবি)।

জানা গেছে, জি কে শামীম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিচ্ছে কি না তার সন্ধানে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ইতোমধ্যে কর সার্কেল থেকে আয়কর নথি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইসিতে তলব করা হয়েছে।

এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর জি কে শামীমের কর ফাঁকির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আয়কর রিটার্নে ঘোষিত সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে প্রকৃত সম্পদের গরমিল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তার লাইফস্টাইলের সঙ্গে প্রকৃত জীবনযাপনে অসঙ্গতি রয়েছে। কর ফাঁকি দিতেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

জি কে শামীম ও খালেদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আপডেট টাইম : ১১:১৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আলোর জগত ডেস্কঃ  গোলাম কিবরিয়া শামীম চৌধুরী (জি কে শামীম) ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।আজ সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন :  আফগানিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমায় নিহত ৩৫

আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, সন্ত্রাসী ও মানি লন্ডারিং বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে বিএফআইইউ তা অনুসন্ধান করে। সম্প্রতি এসব অপরাধে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের হিসাবও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকালে তাদের হিসাবে টাকা জমা হবে কিন্তু উত্তোলন করতে পারবে না।

গত শুক্রবার নিকেতনের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় জি কে শামীমকে। তার অফিসে থাকা নগদ দেড় কোটি টাকা ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআরের কাগজ জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।

এর আগে বুধবার অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা রাখার অপরাধে খালেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং মামলা করা হয়। এর মধ্যে মাদক ও অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় মহানগর গোয়েন্দাকে (ডিবি)।

জানা গেছে, জি কে শামীম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিচ্ছে কি না তার সন্ধানে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ইতোমধ্যে কর সার্কেল থেকে আয়কর নথি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইসিতে তলব করা হয়েছে।

এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর জি কে শামীমের কর ফাঁকির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আয়কর রিটার্নে ঘোষিত সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে প্রকৃত সম্পদের গরমিল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তার লাইফস্টাইলের সঙ্গে প্রকৃত জীবনযাপনে অসঙ্গতি রয়েছে। কর ফাঁকি দিতেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।