ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

বিমানের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

আলোর জগত ডেস্ক :   চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও অপর এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুইজনের মধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রকৌশল) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়েছে। এছাড়া বরখাস্ত হয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) জি এম ইকবাল।

আরো পড়ুন :  নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী হলেন আছাদুজ্জামান মিয়া

মিশরের ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া দু’টি উড়োজাহাজ ফেরত সংক্রান্ত বিষয়ে গাফিলতির কারণে বিমানের পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার রাতে কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিত্ব করেন এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী।

সভায় সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এমডি নিয়োগ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল চুক্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (প্রকৌশল) পদে নিয়োগ পান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিম। অন্যদিকে বিমানের স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত জি এম ইকবাল প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ড্রাই লিজে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে বিমান বাংলাদেশ।

২০১৪ সালের মার্চে একটি উড়োজাহাজ (রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস২-এএইসএল, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬৩০) বিমানবহরে যু্ক্ত হয়। অন্য উড়োজাহাজটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস২-এএইসকে, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬২৯) যুক্ত হয় একই বছরের মে মাসে।

চুক্তি অনুসারে যাত্রী ঠিকভাবে চলাচল না করলেও উড়োজাহাজ দুটির জন্য বাংলাদেশ বিমানকে মাসে ১১ কোটি টাকা করে দিতে হয়েছে। বহন করতে হয়েছে সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়।

পাঁচ বছরের আগে চুক্তি বাতিল করতে পারবে না বিমান, এমন অসম চুক্তি করে এয়ারক্রাফট দুটি আনা হয়। লিজের মেয়াদ শেষে উড়োজাহাজ দু’টি আগের অবস্থায় (ভাড়া নেয়ার সময় যে অবস্থায় ছিল) ফেরত দিতে হবে।

লিজে আনা উড়োজাহাজ দুটির কারণে বিমানের সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির কারণ হিসেবে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দুই উড়োজাহাজ লিজ নেয়া এবং মেরামতে চরম অবহেলা ও অনিয়ম করা হয়েছে। উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার পর থেকে ইঞ্জিন বিকল হওয়া, আবার ভাড়ায় আনা, সেগুলোর মেরামত এবং উড়োজাহাজের ভাড়াসহ আনুসঙ্গিক কাজে এ সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়, যা দিয়ে একটি নতুন উড়োজাহাজ কেনা যেত।

২০১৪ সালের বিমানবহরে যু্ক্ত হওয়ার এক বছর পরই লিজে আনা বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজটির (রেজিস্ট্রেশন নং এস২-এএইসএল, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬৩০) একটি ইঞ্জিন বিকল হয়। পরবর্তী সময়ে ইজিপ্ট এয়ার থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৮ লাখ টাকায় (১০ হাজার ডলার) ভাড়ার ইঞ্জিন দিয়ে সচল করা হয় উড়োজাহাজটি।

নষ্ট ইঞ্জিনটি মেরামতের জন্য পাঠানো হয় লন্ডনভিত্তিক ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সে। সেই ইঞ্জিন মেরামত করে ফেরত আনার আগেই ৩ বছরের মাথায় আবারও নষ্ট হয়।

এয়ারক্রাফট দুটি ভাড়ায় আনার পর থেকে চারটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইঞ্জিনগুলো বিমানের মেরামত করে দেয়ার কথা। সে হিসেবে চারটি ইঞ্জিন ক্রয় ও মেরামত বাবদ বিমানের ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে বলে সূত্র জানায়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩২১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এছাড়া উড়োজাহাজ দুটির মাসিক ভাড়া বাবদ বিমানকে প্রতি মাসে ১.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়। এতে চার বছরে দুটি এয়ারক্রাফটের জন্য ৪৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা দিতে হয়।

অপর দিকে চুক্তি অনুযায়ী উড়োজাহাজ দুটি ইজিপ্ট এয়ারকে ফেরত দেয়ার সময় আগের অবস্থায় করে দিতে হয়। এজন্য খরচ বহন করে বিমান।

ভাড়া নেয়ার পর বিমান উড়োজাহাজ দুটি রং পরিবর্তন করে বিমানের লোগো স্থাপন করে। ভেতরেও রং পরিবর্তন করে। সিটের সংখ্যা বাড়ায়। আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হলে কনসালটেন্ট ফার্মের হিসাব অনুযায়ী বিমানকে দুটি এয়ারক্রাফটের জন্য ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ৮৩৭ কোটি টাকা।

অনিয়মের খবর পেয়ে গতবছরে জুনে তদন্ত কমিটি গঠন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কামরুল আশরাফ খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরের মাসে ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজ দুটি লিজ চুক্তির সব শর্তই ছিল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে। লিজ এবং মেরামতের ক্ষেত্রে ‘চরম অবহেলা ও অনিয়ম’ ঘটেছে।

বিমান মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে ‘চরম উদাসীনতা’ দেখিয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ‘অপ্রচলিত ব্যয়বহুল’ এ লিজকে বিমানের স্বার্থবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে উড়োজাহাজ দুটি ফেরত দেয়ার সুপারিশ করে কমিটি।

এতে বলা হয়, লিজ নেয়ার সময় ইঞ্জিনের সক্ষমতা যাচাইয়ে ব্যর্থতা এবং ‘অপ্রচলিত ব্যয়বহুল এই লিজ’ বিমানের স্বার্থবিরোধী।

এ বছর ১৬ জুলাই একটি উড়োজাহাজ ইজিপ্ট এয়ারকে ফেরত দেয় বিমান। ফেরত পাঠাতে পাওনা পরিশোধসহ ৪.১ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় বিমানের। অপর একটি উড়োজাহাজ এখনও ফেরত দিতে পারেনি বিমান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

বিমানের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

আপডেট টাইম : ০২:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও অপর এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুইজনের মধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রকৌশল) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়েছে। এছাড়া বরখাস্ত হয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) জি এম ইকবাল।

আরো পড়ুন :  নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী হলেন আছাদুজ্জামান মিয়া

মিশরের ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া দু’টি উড়োজাহাজ ফেরত সংক্রান্ত বিষয়ে গাফিলতির কারণে বিমানের পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার রাতে কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিত্ব করেন এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী।

সভায় সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এমডি নিয়োগ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল চুক্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (প্রকৌশল) পদে নিয়োগ পান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খন্দকার সাজ্জাদুর রহিম। অন্যদিকে বিমানের স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত জি এম ইকবাল প্রধান প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ড্রাই লিজে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে বিমান বাংলাদেশ।

২০১৪ সালের মার্চে একটি উড়োজাহাজ (রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস২-এএইসএল, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬৩০) বিমানবহরে যু্ক্ত হয়। অন্য উড়োজাহাজটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস২-এএইসকে, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬২৯) যুক্ত হয় একই বছরের মে মাসে।

চুক্তি অনুসারে যাত্রী ঠিকভাবে চলাচল না করলেও উড়োজাহাজ দুটির জন্য বাংলাদেশ বিমানকে মাসে ১১ কোটি টাকা করে দিতে হয়েছে। বহন করতে হয়েছে সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়।

পাঁচ বছরের আগে চুক্তি বাতিল করতে পারবে না বিমান, এমন অসম চুক্তি করে এয়ারক্রাফট দুটি আনা হয়। লিজের মেয়াদ শেষে উড়োজাহাজ দু’টি আগের অবস্থায় (ভাড়া নেয়ার সময় যে অবস্থায় ছিল) ফেরত দিতে হবে।

লিজে আনা উড়োজাহাজ দুটির কারণে বিমানের সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির কারণ হিসেবে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দুই উড়োজাহাজ লিজ নেয়া এবং মেরামতে চরম অবহেলা ও অনিয়ম করা হয়েছে। উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার পর থেকে ইঞ্জিন বিকল হওয়া, আবার ভাড়ায় আনা, সেগুলোর মেরামত এবং উড়োজাহাজের ভাড়াসহ আনুসঙ্গিক কাজে এ সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়, যা দিয়ে একটি নতুন উড়োজাহাজ কেনা যেত।

২০১৪ সালের বিমানবহরে যু্ক্ত হওয়ার এক বছর পরই লিজে আনা বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজটির (রেজিস্ট্রেশন নং এস২-এএইসএল, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬৩০) একটি ইঞ্জিন বিকল হয়। পরবর্তী সময়ে ইজিপ্ট এয়ার থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৮ লাখ টাকায় (১০ হাজার ডলার) ভাড়ার ইঞ্জিন দিয়ে সচল করা হয় উড়োজাহাজটি।

নষ্ট ইঞ্জিনটি মেরামতের জন্য পাঠানো হয় লন্ডনভিত্তিক ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সে। সেই ইঞ্জিন মেরামত করে ফেরত আনার আগেই ৩ বছরের মাথায় আবারও নষ্ট হয়।

এয়ারক্রাফট দুটি ভাড়ায় আনার পর থেকে চারটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইঞ্জিনগুলো বিমানের মেরামত করে দেয়ার কথা। সে হিসেবে চারটি ইঞ্জিন ক্রয় ও মেরামত বাবদ বিমানের ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে বলে সূত্র জানায়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩২১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এছাড়া উড়োজাহাজ দুটির মাসিক ভাড়া বাবদ বিমানকে প্রতি মাসে ১.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়। এতে চার বছরে দুটি এয়ারক্রাফটের জন্য ৪৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা দিতে হয়।

অপর দিকে চুক্তি অনুযায়ী উড়োজাহাজ দুটি ইজিপ্ট এয়ারকে ফেরত দেয়ার সময় আগের অবস্থায় করে দিতে হয়। এজন্য খরচ বহন করে বিমান।

ভাড়া নেয়ার পর বিমান উড়োজাহাজ দুটি রং পরিবর্তন করে বিমানের লোগো স্থাপন করে। ভেতরেও রং পরিবর্তন করে। সিটের সংখ্যা বাড়ায়। আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হলে কনসালটেন্ট ফার্মের হিসাব অনুযায়ী বিমানকে দুটি এয়ারক্রাফটের জন্য ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ৮৩৭ কোটি টাকা।

অনিয়মের খবর পেয়ে গতবছরে জুনে তদন্ত কমিটি গঠন করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কামরুল আশরাফ খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরের মাসে ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজ দুটি লিজ চুক্তির সব শর্তই ছিল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে। লিজ এবং মেরামতের ক্ষেত্রে ‘চরম অবহেলা ও অনিয়ম’ ঘটেছে।

বিমান মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে ‘চরম উদাসীনতা’ দেখিয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ‘অপ্রচলিত ব্যয়বহুল’ এ লিজকে বিমানের স্বার্থবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে উড়োজাহাজ দুটি ফেরত দেয়ার সুপারিশ করে কমিটি।

এতে বলা হয়, লিজ নেয়ার সময় ইঞ্জিনের সক্ষমতা যাচাইয়ে ব্যর্থতা এবং ‘অপ্রচলিত ব্যয়বহুল এই লিজ’ বিমানের স্বার্থবিরোধী।

এ বছর ১৬ জুলাই একটি উড়োজাহাজ ইজিপ্ট এয়ারকে ফেরত দেয় বিমান। ফেরত পাঠাতে পাওনা পরিশোধসহ ৪.১ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় বিমানের। অপর একটি উড়োজাহাজ এখনও ফেরত দিতে পারেনি বিমান।