ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

আলোর জগত ডেস্ক :  কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। শনিবার ভোররাতে টেকনাফের জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জাদীমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ছবির রহমানের ছেলে মো. শাহ (৩৮) ও বালুখালী ক্যাম্পের আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (২৫)।

আরো পড়ুন :  সিলেটে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সদস্য নিহত

এসময় ৩ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- উপপুলিশ পরিদর্শক মনজুর, সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মো. জামাল ও কনস্টেবল লিটন।

পুলিশ জানায়, যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত আসামিরা জাদীমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গারা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকতে। পুলিশও প্রাণ ও সরকারি মাল রক্ষার্থে ৪০ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যা মামলার দুইজন আসামি, ২টি এলজি, ৯টি শটগানের তাজা কার্তুজ, ১২ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করে।

আহত আসামিদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শোভন দাশ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। পরে তাদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, নিহত দুই রোহিঙ্গা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে জাদিমুরা এলাকায় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি ওমর ফারুককে (২৪) তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে জনতা। পরে ফারুক হত্যায় মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

আপডেট টাইম : ০৩:৫০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। শনিবার ভোররাতে টেকনাফের জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জাদীমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ছবির রহমানের ছেলে মো. শাহ (৩৮) ও বালুখালী ক্যাম্পের আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (২৫)।

আরো পড়ুন :  সিলেটে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সদস্য নিহত

এসময় ৩ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- উপপুলিশ পরিদর্শক মনজুর, সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মো. জামাল ও কনস্টেবল লিটন।

পুলিশ জানায়, যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত আসামিরা জাদীমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গারা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকতে। পুলিশও প্রাণ ও সরকারি মাল রক্ষার্থে ৪০ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যা মামলার দুইজন আসামি, ২টি এলজি, ৯টি শটগানের তাজা কার্তুজ, ১২ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করে।

আহত আসামিদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শোভন দাশ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। পরে তাদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, নিহত দুই রোহিঙ্গা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে জাদিমুরা এলাকায় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি ওমর ফারুককে (২৪) তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে জনতা। পরে ফারুক হত্যায় মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।