ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদায় বেলায় ডিএমপি কমিশনারের দুটি আক্ষেপ

আলোর জগত ডেস্ক :  বিদায় বেলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া তার দুটি আক্ষেপের বিষয় তুলে ধরে বলেছেন, থানা থেকে মানুষ যে ধরণের সেবা আশা করে সেই কাঙ্ক্ষিত সেবা এখনও নিশ্চিত হয়নি। ইচ্ছা ছিল ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করব, কিন্তু তা পারিনি।

আরো পড়ুন :  মিন্নির জামিন হলো না হাইকোর্টেও

তবে টিম ডিএমপির ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্যকে দেশের জন্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে জনগণের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য এক সূত্রে রেখে কাজ করে গেছি। এটাই আমার বড় সফলতা। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

বত্রিশ বছরের কর্মজীবনের সাড়ে চার বছর ধরে আছাদুজ্জামান মিয়া ডিএমপির কমিশনার। আগামী ১৩ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যাবেন তিনি। তার আগে বৃহস্পতিবার শেষবারের মতো গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন সাফল্য-ব্যর্থতার কথা। তিনি বলেন, জঙ্গি দমনে আমাদের সাফল্য দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। এটিকে রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্ব নিয়েছে। ভাড়াটিয়াদের ডাটাবেজ তৈরি করে আমরা একটি অনন্য কাজ করেছি।

‘এ মুহূর্তে প্রায় ৭২ লাখ নাগরিকের ডাটাবেজ আমাদের সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস) আছে। এই ডাটাবেজের কারণে কোনো সন্ত্রাসী, অপরাধী পরিচয় গোপন করে ঢাকা শহরে লুকিয়ে থেকে অপরাধ করতে পারছে না।’

পুলিশে দুর্নীতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দুর্নীতি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পেশাতেই কম-বেশি আছে। ঢাকা মহানগরে জনগণের যাতে কোনো হয়রানি না হয়, সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আপনাদের উপলব্ধি করতে হবে আপনারা জনগণের বন্ধু। জনগণের টাকায় আপনারা বেতন পান। ক্ষমতার দম্ভ নয়, লাঠি ঘুরিয়ে নয়, সেবা ও ভালোবাসার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করুন।

তিনি বলেন, আজ আমার শেষ কার্যদিবস। আমি পুলিশের পবিত্র পোশাককে খুব মিস করব। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমি আমার পরিবার বন্ধু-বান্ধবসহ কাউকেই কোনো সময় দিতে পারিনি। ১০ মিনিটের জন্য কারও সঙ্গে কোনো আড্ডাও দিতে পারিনি। অবসরের পর এখন তাদের সময় দেব।

১৯৬০ সালের ১৪ আগস্ট ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জন্ম নেয়া আছাদুজ্জামান ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, পাবনা ও টাঙ্গাইলে এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা রেঞ্জ ও হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজিও ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ডিএমপি কমিশনার পদে যোগ দেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বিদায় বেলায় ডিএমপি কমিশনারের দুটি আক্ষেপ

আপডেট টাইম : ০২:০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  বিদায় বেলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া তার দুটি আক্ষেপের বিষয় তুলে ধরে বলেছেন, থানা থেকে মানুষ যে ধরণের সেবা আশা করে সেই কাঙ্ক্ষিত সেবা এখনও নিশ্চিত হয়নি। ইচ্ছা ছিল ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করব, কিন্তু তা পারিনি।

আরো পড়ুন :  মিন্নির জামিন হলো না হাইকোর্টেও

তবে টিম ডিএমপির ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্যকে দেশের জন্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে জনগণের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য এক সূত্রে রেখে কাজ করে গেছি। এটাই আমার বড় সফলতা। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

বত্রিশ বছরের কর্মজীবনের সাড়ে চার বছর ধরে আছাদুজ্জামান মিয়া ডিএমপির কমিশনার। আগামী ১৩ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যাবেন তিনি। তার আগে বৃহস্পতিবার শেষবারের মতো গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন সাফল্য-ব্যর্থতার কথা। তিনি বলেন, জঙ্গি দমনে আমাদের সাফল্য দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। এটিকে রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্ব নিয়েছে। ভাড়াটিয়াদের ডাটাবেজ তৈরি করে আমরা একটি অনন্য কাজ করেছি।

‘এ মুহূর্তে প্রায় ৭২ লাখ নাগরিকের ডাটাবেজ আমাদের সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস) আছে। এই ডাটাবেজের কারণে কোনো সন্ত্রাসী, অপরাধী পরিচয় গোপন করে ঢাকা শহরে লুকিয়ে থেকে অপরাধ করতে পারছে না।’

পুলিশে দুর্নীতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দুর্নীতি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পেশাতেই কম-বেশি আছে। ঢাকা মহানগরে জনগণের যাতে কোনো হয়রানি না হয়, সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আপনাদের উপলব্ধি করতে হবে আপনারা জনগণের বন্ধু। জনগণের টাকায় আপনারা বেতন পান। ক্ষমতার দম্ভ নয়, লাঠি ঘুরিয়ে নয়, সেবা ও ভালোবাসার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করুন।

তিনি বলেন, আজ আমার শেষ কার্যদিবস। আমি পুলিশের পবিত্র পোশাককে খুব মিস করব। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমি আমার পরিবার বন্ধু-বান্ধবসহ কাউকেই কোনো সময় দিতে পারিনি। ১০ মিনিটের জন্য কারও সঙ্গে কোনো আড্ডাও দিতে পারিনি। অবসরের পর এখন তাদের সময় দেব।

১৯৬০ সালের ১৪ আগস্ট ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জন্ম নেয়া আছাদুজ্জামান ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।

সিলেট, সুনামগঞ্জ, পাবনা ও টাঙ্গাইলে এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা রেঞ্জ ও হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজিও ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ডিএমপি কমিশনার পদে যোগ দেন তিনি।