ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন

আলোর জগত ডেস্ক:   বসন্ত বিদায় নেয়ার সময় হলে এলো। গ্রীষ্ম তার তীব্রতা নিয়ে উপস্থিত হওয়ার আগেই গরম পড়তে শুরু করেছে বেশ। গরম থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে এসি লাগানোর কথা ভাবছেন? কিন্তু কেনার সময় এতো কোম্পানির আলাদা মডেল দেখে বুঝে উঠতে পারছেন না কোন মডেল কেনা উচিৎ আপনার। এসি কেনার আগে দেখে নিন কোন বিষয়গুলো জেনে নেয়া জরুরি:

স্প্লিট এসি নাকি উইন্ডো এসি?
এসি কেনার আগে প্রথম প্রশ্ন যেটি মাথায় আসে তা হল স্প্লিট এসি নাকি ইউন্ডো? ইউন্ডো এসিতে বন্ধ হয়ে যাবে আপনার একটি জানলা। আর এসি বন্ধ থাকলে ঘরে আলো ঢোকার সম্ভবনা কমে যাবে। অন্যদিকে স্প্লিট এসি তে কম্প্রেশারটি থাকবে ঘরের বাইরে। তাই ঘরের দেয়ালে যে কোনো জায়গায় ঝুলিয়ে দেয়া যাবে এই এসি। কিন্তু মাথায় রাখবেন কম্প্রেশারের সাথে কানেকশানের জন্য গর্ত করতে হবে পারে দেয়ালে। এছাড়াও যেহেতু স্প্লিট এসিতে কমপ্রেশারটি ঘরের বাইরে থাকে তাই আওয়াজ অনেক কম হয় স্প্লিট এসিতে। যদিও দামের দিক থেকে উইন্ডো এসির দাম স্প্লিট এসির থেকে খানিকটা কম।

ইনভার্টার এসি কী?
গত কয়েক বছর ধরে ইনভার্টার এসি জনপ্রিয় হয়েছে বাজারে। যদিও এটি কোনভাবেই ইনভার্টার ব্যাটারির মতো নয়। এবং পাওয়ার কাটে আপনাকে কোনভাবেই সাহায্য করবে না এই ইভার্টার এসি।

সাধারণ এসিতে কমপ্রেশারটি শুধুমাত্র ফুল ক্যাপাসিটিতেই চলতে পারে। ফলে ঘর প্রয়োজনের মতো ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় কমপ্রেশার। ঘর আবার গরম হতে শুরু করলে আবার ফুল ক্যাপাসিটিতে চালু হয় কমপ্রেশার। কিন্তু ইনভার্টার এসিতে কমপ্রেশারের ক্যাপাসিটি কম বা বেশি হয় প্রয়োজন মতো। তাই ইনভার্টার এসির কমপ্রেশার সবসময় প্রয়োজন মতো ক্যাপাসিটিতে কমে গিয়ে চলতে থাকে ও ঘরকে ঠান্ডা রাখে। যেহেতু এই এসির কমপ্রেশার কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে তাই সাধারণ এসির থেকে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এই এসি তে।

কোম্পানিগুলি দাবি করে ইনভার্টার এসি ব্যাহহার করলে সাধারণ এসির থেকে আপনি প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। যদিও সাধারণভাবে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম খরচ হয় ইনভার্টার এসিতে।

BEE স্টার রেটিং
এসি কেনার আগে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার BEE স্টার রেটিং। কোন ইলেকট্রিকাল ডিভাইস কতো বিদ্যুত ব্যবহার করে তা বিচার হয় এই BEE স্টার রেটিং দিয়ে।

১ স্টার ডিভাইস এক বছরে ব্যবহার করে ৮৪৩ ইউনিট অন্যদিকে ৫ স্টার ডিভাইস ব্যবহার করে ৫৫৪ ইউনিট। এখানে মাথায় রাখা প্রয়োজন স্টার রেটিং ক্রমশ বদলাতে থাকে। ২০১৬ সালে যে এসিটি ৫ স্টার ছিল এখন ২০১৮ সালে তা একটি ৩ স্টার এসি।

এসির ক্ষমতা
এছাড়াও শেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই এসির ক্যাপাসিটি। বাজারে ১ টন থেকে ২ টন পর্যন্ত এসি কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি কোনোভাবেই এসির ওজনকে বোঝায় না। এই ওজন বোঝায় কোন এসি এক ঘণ্টায় কতটা তাপ ঘর থেকে বার করতে পারে। ঘরের আয়তনের উপরেও নির্ভর করে এসির ক্ষমতা। ১২০ স্কোয়ার ফুট ঘরের জন্য ১.২ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৭৯ স্কোয়ার ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি। ১৮০ স্কোয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২টন ক্ষমতার এসি। যদিও আপনার ঘরের তাপমাত্রা ও কোন ফ্লোরে আপনার ঘর রয়েছে তার উপরে নির্ভর করে এসির ক্ষমতা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন

আপডেট টাইম : ০১:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক:   বসন্ত বিদায় নেয়ার সময় হলে এলো। গ্রীষ্ম তার তীব্রতা নিয়ে উপস্থিত হওয়ার আগেই গরম পড়তে শুরু করেছে বেশ। গরম থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে এসি লাগানোর কথা ভাবছেন? কিন্তু কেনার সময় এতো কোম্পানির আলাদা মডেল দেখে বুঝে উঠতে পারছেন না কোন মডেল কেনা উচিৎ আপনার। এসি কেনার আগে দেখে নিন কোন বিষয়গুলো জেনে নেয়া জরুরি:

স্প্লিট এসি নাকি উইন্ডো এসি?
এসি কেনার আগে প্রথম প্রশ্ন যেটি মাথায় আসে তা হল স্প্লিট এসি নাকি ইউন্ডো? ইউন্ডো এসিতে বন্ধ হয়ে যাবে আপনার একটি জানলা। আর এসি বন্ধ থাকলে ঘরে আলো ঢোকার সম্ভবনা কমে যাবে। অন্যদিকে স্প্লিট এসি তে কম্প্রেশারটি থাকবে ঘরের বাইরে। তাই ঘরের দেয়ালে যে কোনো জায়গায় ঝুলিয়ে দেয়া যাবে এই এসি। কিন্তু মাথায় রাখবেন কম্প্রেশারের সাথে কানেকশানের জন্য গর্ত করতে হবে পারে দেয়ালে। এছাড়াও যেহেতু স্প্লিট এসিতে কমপ্রেশারটি ঘরের বাইরে থাকে তাই আওয়াজ অনেক কম হয় স্প্লিট এসিতে। যদিও দামের দিক থেকে উইন্ডো এসির দাম স্প্লিট এসির থেকে খানিকটা কম।

ইনভার্টার এসি কী?
গত কয়েক বছর ধরে ইনভার্টার এসি জনপ্রিয় হয়েছে বাজারে। যদিও এটি কোনভাবেই ইনভার্টার ব্যাটারির মতো নয়। এবং পাওয়ার কাটে আপনাকে কোনভাবেই সাহায্য করবে না এই ইভার্টার এসি।

সাধারণ এসিতে কমপ্রেশারটি শুধুমাত্র ফুল ক্যাপাসিটিতেই চলতে পারে। ফলে ঘর প্রয়োজনের মতো ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় কমপ্রেশার। ঘর আবার গরম হতে শুরু করলে আবার ফুল ক্যাপাসিটিতে চালু হয় কমপ্রেশার। কিন্তু ইনভার্টার এসিতে কমপ্রেশারের ক্যাপাসিটি কম বা বেশি হয় প্রয়োজন মতো। তাই ইনভার্টার এসির কমপ্রেশার সবসময় প্রয়োজন মতো ক্যাপাসিটিতে কমে গিয়ে চলতে থাকে ও ঘরকে ঠান্ডা রাখে। যেহেতু এই এসির কমপ্রেশার কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে তাই সাধারণ এসির থেকে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এই এসি তে।

কোম্পানিগুলি দাবি করে ইনভার্টার এসি ব্যাহহার করলে সাধারণ এসির থেকে আপনি প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন। যদিও সাধারণভাবে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম খরচ হয় ইনভার্টার এসিতে।

BEE স্টার রেটিং
এসি কেনার আগে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার BEE স্টার রেটিং। কোন ইলেকট্রিকাল ডিভাইস কতো বিদ্যুত ব্যবহার করে তা বিচার হয় এই BEE স্টার রেটিং দিয়ে।

১ স্টার ডিভাইস এক বছরে ব্যবহার করে ৮৪৩ ইউনিট অন্যদিকে ৫ স্টার ডিভাইস ব্যবহার করে ৫৫৪ ইউনিট। এখানে মাথায় রাখা প্রয়োজন স্টার রেটিং ক্রমশ বদলাতে থাকে। ২০১৬ সালে যে এসিটি ৫ স্টার ছিল এখন ২০১৮ সালে তা একটি ৩ স্টার এসি।

এসির ক্ষমতা
এছাড়াও শেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই এসির ক্যাপাসিটি। বাজারে ১ টন থেকে ২ টন পর্যন্ত এসি কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি কোনোভাবেই এসির ওজনকে বোঝায় না। এই ওজন বোঝায় কোন এসি এক ঘণ্টায় কতটা তাপ ঘর থেকে বার করতে পারে। ঘরের আয়তনের উপরেও নির্ভর করে এসির ক্ষমতা। ১২০ স্কোয়ার ফুট ঘরের জন্য ১.২ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৭৯ স্কোয়ার ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি। ১৮০ স্কোয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২টন ক্ষমতার এসি। যদিও আপনার ঘরের তাপমাত্রা ও কোন ফ্লোরে আপনার ঘর রয়েছে তার উপরে নির্ভর করে এসির ক্ষমতা।