ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

তেঁতুলের যত গুণ

ফিচার ডেস্ক :   তেঁতুলকে চিনে না এমন লোক সাধারণত কমই আছে। প্রচুর টক হওয়ায় ছোট-বড় সকলের কাছেই খুবই পছন্দনীয়। তেঁতুলে রয়েছে অনেক পুষ্টি ও গুণ। আমরা অনেকেই হয়ত জানি না, তেঁতুল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। যারা প্রেশারের রোগী তাদের জন্য তেঁতুল খুবই উপকারি।

ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুল খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্ষিদে কমে যায়। আর একবার কম খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে সময় লাগে না। এছাড়া তেঁতুলে যেসব উপাদান রয়েছে তা শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে স্বাভাবিক ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: তেঁতুলে উপস্থিতি বেশ কিছু এনজাইম, কার্বোহাইড্রেটের শোষণ মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল দারুণভাবে কাজ করে।

হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি: তেঁতুলের ভিতরে থাকা একাধিক ভিটামিন এবং খনিজ ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর হার্টের কর্মক্ষমতা কমাতে ব্লাড প্রেশার এবং কোলেস্টেরল কোনও খামতিই রাখে না। তাই শরীর যখন এই দুই ক্ষতিকর রোগ থেকে দূরে থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার কোনও সুযোগই থাকে না। সুতরাং তেঁতুল খাওয়া খুবই জরুরি।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি: তেঁতুলে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার হজমে সহায়ক করে। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় “বিলিয়াস সাবস্টেন্স” যা খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা হ্রাস পায়। এক কথায়, পেটের ভিতরে ছোট-বড় প্রতিটি কাজ যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে তেঁতুল। ফলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

তেঁতুলের যত গুণ

আপডেট টাইম : ০১:৪৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০১৯

ফিচার ডেস্ক :   তেঁতুলকে চিনে না এমন লোক সাধারণত কমই আছে। প্রচুর টক হওয়ায় ছোট-বড় সকলের কাছেই খুবই পছন্দনীয়। তেঁতুলে রয়েছে অনেক পুষ্টি ও গুণ। আমরা অনেকেই হয়ত জানি না, তেঁতুল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। যারা প্রেশারের রোগী তাদের জন্য তেঁতুল খুবই উপকারি।

ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুল খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্ষিদে কমে যায়। আর একবার কম খাওয়া শুরু করলে ওজন কমতে সময় লাগে না। এছাড়া তেঁতুলে যেসব উপাদান রয়েছে তা শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে স্বাভাবিক ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: তেঁতুলে উপস্থিতি বেশ কিছু এনজাইম, কার্বোহাইড্রেটের শোষণ মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল দারুণভাবে কাজ করে।

হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি: তেঁতুলের ভিতরে থাকা একাধিক ভিটামিন এবং খনিজ ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর হার্টের কর্মক্ষমতা কমাতে ব্লাড প্রেশার এবং কোলেস্টেরল কোনও খামতিই রাখে না। তাই শরীর যখন এই দুই ক্ষতিকর রোগ থেকে দূরে থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার কোনও সুযোগই থাকে না। সুতরাং তেঁতুল খাওয়া খুবই জরুরি।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি: তেঁতুলে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার হজমে সহায়ক করে। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় “বিলিয়াস সাবস্টেন্স” যা খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা হ্রাস পায়। এক কথায়, পেটের ভিতরে ছোট-বড় প্রতিটি কাজ যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে তেঁতুল। ফলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।