ঢাকার ধামরাইয়ে প্রশাসনকে অমান্য করে চলাচলের রাস্তার উপরে বাড়ি নির্মাণ করছে ধামরাই বাজার ব্যবসায়ী নিতাই ঘোষ। চলাচলের রাস্তা সচল রাখাতে প্রতিবেশিরা মিলে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে, উল্টো মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করেছে তিনটি পরিবারকে। এঘটনায় ব্যবসায়ী নিতাই ঘোষ নিজেরাই মারামারি নাটক সাজিয়ে মামলা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে যানা যায়, শতবছরেরও ঐতিহ্যবাহী ধামরাই বাজারে দুই ব্যবসায়ী নেপাল চন্দ্র ঘোষ ও সুভাষ চন্দ্র ঘোষ। এদের দোকান ও বাসা পাশাপাশি হওয়ার হাটাচলার জন্য ৪ফিটের একটি গলি রাখা হয় অনেক বছর আগে। বর্তমানে নেপাল চন্দ্র ঘোষ তার দোকানের উপর চারতলা বিল্ডিং এর কাজ শুরু করে। কিন্তু চলাচলের গলির উপর দিয়ে দিতীয় তলায় বারান্দা করতে যায়গা বাড়িয়ে গলি উপরে চলে আসে। আর এই কাজে বাধা দেয় সুভাষ চন্দ্র ঘোষ ও তার আত্তীসজনরা। পরে ধামরাই থানায় বসে চলাচলের রাস্তার জন্য ” চুক্তিনামা দলিল” নামে একটি আপোষমুলক অঙ্গীকারনামা করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় ৩ ফুট প্রস্থ ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য চলাচলের গলিটি উপরে কোন প্রকার বারতি যায়গা করা যাবে না। কিন্তু সে নিয়োম ভেঙে আনন্দ,নিতাই,চিত্ত ঘোস তিন ভাই মিলে ২য়তলা,তৃতীয় ও ৪র্থ তলার বারতি কাজ করে। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা মিলে ২য় ও তলার বারতি অংশ ভেঙে ফেলে। পরে ৪র্থ তলায় আবার বারান্দার জন্য বারতি করলে তর্কবির্তক শুরুর এক পর্যায় মারামারি বাধে দুপক্ষের মধ্যে। পরে নিতাই চন্দ্র ঘোষ বাদি হয়ে ২৮শে ডিসেম্বার ১১ জন কে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে ধামরাই থানায় যাহার মামলা নাম্বার ২১। এই মামলায় ২ থেকে ৩টি পরিবারের লোক বাড়ি ছাড়া হয়ে আছে।
বাজারের তামা কাসা পিতলের বড় ব্যবসায়ী সুকান্ত বনিক বলেন,আমি সহ বেশ কয়েকজন গন্যমান্য ব্যাক্তি একসাথে বসে একটা স্টাম্প করে দিয়ে ছিলাম কিন্তু এটা নিতাই ঘোষ না মানায় গেদারিংটা তৈরি হয়েছে।