ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

‘মারধর, ছ্যাঁকা, শরীরে প্রস্রাব’, গাজাবাসীর ওপর চলছে এসব নির্যাতন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাধারণ মানুষদের আটক করে এখন নির্যাতন চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলিদের হাতে নির্মমতার শিকার হওয়া তিন ভাই জানিয়েছেন, তাদেরসহ আরও কয়েকজনকে ধরে নিয়ে মারধর, শরীরের কাপড় খুলে ফেলা, সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়াসহ সহ অন্যান্য আমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন সোবি ইয়াসিন ও তার দুই ভাই সাদী ও ইব্রাহিম। তারা বর্তমানে রাফাহতে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন।

এই তিন ভাই জানিয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটির নিজ বাড়ি থেকে ডিসেম্বরের শুরুর ‍দিকে তাদের ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা। এরপর টানা দুই সপ্তাহ তাদের বিভিন্ন অজানা স্থানে রাখা হয়। যার মধ্যে ছিল মিলিটারি ব্যারাক বা ক্যাম্পও।

বড় ভাই সোবি ইয়াসিন রয়টার্সকে বলেছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক হওয়ার আগে তিনি পায়ে আঘাত পান। ওই আঘাতের কারণে সেনাদের ট্রাকে ওঠতে পারছিলেন না। আর না ওঠতে পারার কারণে চারজন মিলে তাকে ব্যাপক মারধর করে। প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় একটি খোলা ও উন্মুক্ত জায়গায়। সেখানে ইসরায়েলি সেনারা তাদের শরীরে সিগারের আগুন দিয়ে ছ্যাাঁকা দেয়, বালু ও পানি ছিটিয়ে দেয় এবং শরীরের ওপর প্রস্রাব করে।

গাজার একটি স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুদেরও শরীরের কাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়।
সোবির অপর দুই ভাই সাদী এবং ইব্রাহিমও ঠিক একই কথা জানিয়েছেন। তারাও বলেছেন তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই তিনজন ছাড়াও আরও ২০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে তারা। সেসব ফিলিস্তিনিও নির্যাতনের একই বর্ণনা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। আইডিএফের এক মুখপাত্র এক লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবহার করছেন। ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, বন্দিদের শরীরের কাপড় খুলে ফেলা হয়— যেন নিশ্চিত হওয়া যায় তারা কোনো অস্ত্র বা বিস্ফোরক বহন করছেন না।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে কলেজ শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন

‘মারধর, ছ্যাঁকা, শরীরে প্রস্রাব’, গাজাবাসীর ওপর চলছে এসব নির্যাতন

আপডেট টাইম : ০৮:২২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাধারণ মানুষদের আটক করে এখন নির্যাতন চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলিদের হাতে নির্মমতার শিকার হওয়া তিন ভাই জানিয়েছেন, তাদেরসহ আরও কয়েকজনকে ধরে নিয়ে মারধর, শরীরের কাপড় খুলে ফেলা, সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়াসহ সহ অন্যান্য আমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন সোবি ইয়াসিন ও তার দুই ভাই সাদী ও ইব্রাহিম। তারা বর্তমানে রাফাহতে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন।

এই তিন ভাই জানিয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটির নিজ বাড়ি থেকে ডিসেম্বরের শুরুর ‍দিকে তাদের ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা। এরপর টানা দুই সপ্তাহ তাদের বিভিন্ন অজানা স্থানে রাখা হয়। যার মধ্যে ছিল মিলিটারি ব্যারাক বা ক্যাম্পও।

বড় ভাই সোবি ইয়াসিন রয়টার্সকে বলেছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক হওয়ার আগে তিনি পায়ে আঘাত পান। ওই আঘাতের কারণে সেনাদের ট্রাকে ওঠতে পারছিলেন না। আর না ওঠতে পারার কারণে চারজন মিলে তাকে ব্যাপক মারধর করে। প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় একটি খোলা ও উন্মুক্ত জায়গায়। সেখানে ইসরায়েলি সেনারা তাদের শরীরে সিগারের আগুন দিয়ে ছ্যাাঁকা দেয়, বালু ও পানি ছিটিয়ে দেয় এবং শরীরের ওপর প্রস্রাব করে।

গাজার একটি স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুদেরও শরীরের কাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়।
সোবির অপর দুই ভাই সাদী এবং ইব্রাহিমও ঠিক একই কথা জানিয়েছেন। তারাও বলেছেন তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই তিনজন ছাড়াও আরও ২০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে তারা। সেসব ফিলিস্তিনিও নির্যাতনের একই বর্ণনা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। আইডিএফের এক মুখপাত্র এক লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ব্যবহার করছেন। ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, বন্দিদের শরীরের কাপড় খুলে ফেলা হয়— যেন নিশ্চিত হওয়া যায় তারা কোনো অস্ত্র বা বিস্ফোরক বহন করছেন না।