লাইফস্টাইল ডেস্ক : কর্মজীবী নারীকে সংসার সামলে তবেই অফিসের পথে পা বাড়াতে হয়। পরিবারের সবার দেখভালের বিষয়টি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে সময়স্বল্পতার কারণে অনেক কিছু আগে থেকেই তৈরি রাখতে হয়। যেমনটা অনেক গৃহিণীই করে থাকেন, তা হলো অনেক খাবার আগেই রান্না করে রাখেন। খাওয়ার সময় শুধু প্রয়োজনীয়টুকু গরম করে পরিবেশন করে থাকেন টেবিলে। কিন্তু জানেন কি, কিছু খাবার রয়েছে, যা বারবার গরম করে খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। দ্বিতীয়বার গরম করে সেসব খাবার খেলে কোনো উপকার পাওয়া যায় না বরং ক্ষতি হয়। দেখে নেয়া যাক, কোন খাবারগুলো দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া ঠিক নয়—
আরো পড়ুন : রূপচর্চায় রসুন
আরো পড়ুন : স্পঞ্জ রসগোল্লা তৈরির উপায়
আলু রয়েছে এমন খাবারও গরম করবেন না দ্বিতীয়বার : আলুর তরকারি দ্বিতীয়বার গরম করার আগে ভাবুন। কেননা আলুতে রয়েছে বটুলিজম নামে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া, যা সামান্য তাপমাত্রায় দ্রুত বংশবিস্তার করে। তাই রান্না করা আলুর তরকারি বারবার গরম করবেন না। বটুলিজম ব্যাকটেরিয়া যাতে কোনোভাবেই বংশবিস্তার না করতে পারে, এজন্য আলু একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে রেখে দিন ফ্রিজে। এভাবে ভালো থাকবে আলু। ব্যাকটেরিয়াও বংশবিস্তার করতে পারবে না।
ডিম রয়েছে এমন তরকারি : ডিম সিদ্ধ, ওমলেট, ডিম ভুনা কিংবা ডিমের তৈরি যেকোনো তরকারি গরম করে খাওয়া উচিত না। কারণ ডিম দ্বিতীয়বার গরম করলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিমের মধ্যেই নানা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।
শাকজাতীয় খাবারও বাদ নেই : যেকোনো ধরনের শাকসবজি দ্বিতীয়বার গরম করা উচিত নয়। কেননা শাকে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রেট থাকে। ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া রান্না করা শাকের তরকারি গরম করা হলে ওই নাইট্রেট থেকে নাইট্রোস্যামাইন নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
ভাত দ্বিতীয়বার গরম করা একদমই উচিত নয় : অনেকেই ঠাণ্ডা ভাত খেতে পারেন না। তাই খেতে বসে ভাত ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ওভেনে গরম করে নেন। কিন্তু জেনে রাখুন ভাত দ্বিতীয়বার গরম করবেন না। ওভেন থেকে নামানোর পর ভাত যদি ঘরোয়া তাপমাত্রায় রেখে দেয়া হয়, তাহলে তা যত ঠাণ্ডা হতে থাকে, তত নানা ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে থাকে। সেই ভাত গরম করলে ব্যাকটেরিয়াগুলো আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা : মুরগির মাংসে পর্যাপ্ত প্রোটিন রয়েছে। দ্বিতীয়বার গরম করলে প্রোটিনের অণুগুলো ভেঙে যায়। তাছাড়া অনেক সময় রান্নার পরও এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুরগির মাংসে খানিকটা থেকে যায়। রান্না করা চিকেন যদি মাইক্রোওয়েভে গরম করা হয়, তাহলে এই ব্যাকটেরিয়া পুরো মাংসে ছড়িয়ে পড়ে। তাই মুরগির মাংস কখনই দ্বিতীয়বার মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না।