ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজান

আলোর জগত ডেস্ক :   দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর গতকাল সোমবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন :  রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশ পালন করছি।

সোমবার ডিআইজি মিজান রহমান হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাতে শাহবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘তিনি (ডিআইজি মিজান) পুলিশের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমরা তাকে পুলিশের হাতে দিয়ে দিচ্ছি।’

এরপর দুই বিচারপতি এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে আদালতের আদেশটি কোর্ট প্রশাসন শাহবাগ থানাকে জানালে পুলিশের রমনা বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান হাইকোর্টে আসেন।

জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আগাম জামিন চাইতে হলে হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করতে হয়। যেহেতু তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন, সেহেতু সরাসরি কারাগারে পাঠানোর এখতিয়ার আদালতের আছে। সেক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে না রেখেই তাকে কারাগারে নিতে হবে। এরপর হাইকোর্টের আদেশের একটি কপি বিচারিক আদালতে গেলে তারা আসামিকে পরবর্তী শুনানির জন্য হাজির হতে বলবেন।

সোমবার আদালতে ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে দুদকের দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান আবেদন জানান। তার পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান খান।

প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, চাকরির শৃঙ্খলাবিধি ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৪ জুন ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওইদিন কমিশন বৈঠকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ মামলা করেন। মামলা নম্বর: ১।

গত ২৫ জুন পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এছাড়া গত ১৯ জুন, আদালত এক আদেশে মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২৪ জুন তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

অবশেষে গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজান

আপডেট টাইম : ০১:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর গতকাল সোমবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন :  রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশ পালন করছি।

সোমবার ডিআইজি মিজান রহমান হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাতে শাহবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘তিনি (ডিআইজি মিজান) পুলিশের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমরা তাকে পুলিশের হাতে দিয়ে দিচ্ছি।’

এরপর দুই বিচারপতি এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে আদালতের আদেশটি কোর্ট প্রশাসন শাহবাগ থানাকে জানালে পুলিশের রমনা বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান হাইকোর্টে আসেন।

জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আগাম জামিন চাইতে হলে হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করতে হয়। যেহেতু তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন, সেহেতু সরাসরি কারাগারে পাঠানোর এখতিয়ার আদালতের আছে। সেক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে না রেখেই তাকে কারাগারে নিতে হবে। এরপর হাইকোর্টের আদেশের একটি কপি বিচারিক আদালতে গেলে তারা আসামিকে পরবর্তী শুনানির জন্য হাজির হতে বলবেন।

সোমবার আদালতে ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে দুদকের দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন চেয়ে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান আবেদন জানান। তার পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান খান।

প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, চাকরির শৃঙ্খলাবিধি ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৪ জুন ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওইদিন কমিশন বৈঠকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ মামলা করেন। মামলা নম্বর: ১।

গত ২৫ জুন পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এছাড়া গত ১৯ জুন, আদালত এক আদেশে মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২৪ জুন তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।