এর আগে গত সোমবার শুনানিতে আদালতের নির্দেশের পরও ঢাকা ওয়াসার কোনো কোনো এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন না দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী জাপান ও সৌদি সফরে যাচ্ছেন ২৮ মে
আরো পড়ুন : পুলিশ বাহিনীকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা: আইজিপি
একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
ওই দিন আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা ওয়াসার ১১টি পানির জোন রয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে ২ বোতল পানি নিয়েই তো করা যায়। কিন্তু কোনো কথাই শুনছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তারা (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) আমাদের হাইকোর্ট দেখাচ্ছে।
এর আগে শুনানিকালে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পরিবর্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে পানি পরীক্ষায় কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে ওয়াসাকে ১১টি জোনে ভাগ করে পানি পরীক্ষার কথা বলা হয়।
পাশাপাশি অর্থায়ন পাওয়া গেলে চার মাসের মধ্যে পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর পর আদালত কোন কোন এলাকার পানি বেশি দূষিত ও অনিরাপদ সেসব এলাকা চিহ্নিত করে জানানোর নির্দেশ দেন। ওয়াসা বা রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো তথ্য না দিলেও রিটকারী আইনজীবী নিজেই এমন একটি তালিকাসংবলিত তথ্য আদালতে জমা দেন।