আলোর জগত ডেস্ক : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন : ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৩৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
আরো পড়ুন : দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
আরো পড়ুন : তিন ম্যাচে নিষিদ্ধ নেইমার
জিয়াউল হক বলেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠান রোববার দুপুর ১২টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। তবে আজ মধ্যরাত থেকে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও তিন ধাপে নেয়া হবে আবেদন। প্রথম ধাপে আবেদন করা যাবে ২৩ মে পর্যন্ত। এই পর্যায়ে আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন। ২১ জুনই এদের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে আবেদন নেয়া হবে ২৪ জুন। ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত কলেজে ভর্তি হতে হবে। ১ জুলাই শুরু হবে ক্লাস।
অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি আবেদন করা যাবে। এজন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। দিতে হবে ১২০ টাকা। কলেজ পছন্দের ঝামেলা দূর করতে এবার প্রথম ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত আবেদন তালিকায় কলেজের পছন্দক্রম রদ-বদল করতে পারবে।
পছন্দের কলেজ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য গত বছর ১৮৫ টাকা নেয়া হতো। এবার ১৯৫ টাকা নেয়া হবে। বিলম্ব ফি ৫০ টাকার বদলে ১০০ টাকা ইয়ার লসের জন্য ১০০ টাকার বদলে ১৫০ টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
নীতিমালায় একাদশ শ্রেণীতে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল, পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য সব মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার ভর্তির সব আসনেই মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে। তবে বিভিন্ন কোটার মধ্যে আছে- মুক্তিযোদ্ধা-রাজধানীতে ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদরে ৩ শতাংশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন সব দফতরে ২ শতাংশ, বিকেএসপিতে ০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।
কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি : এদিকে দেশের সব পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ইন্সটিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস, গ্রাফিক্স আর্টস ইন্সটিটিউট, ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট, বিভিন্ন সার্ভে ইন্সটিটিউট, ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম কাল শুরু হচ্ছে। একটানা ৮ জুন পর্যন্ত এখানে আবেদন করা যাবে। ফল প্রকাশ ১৫ জুন। পরদিন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত মূল মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তরা ভর্তি হতে পারবে। ২৯ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীরা ভর্তি হবে।