আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর একটি দল মারা গেছে। যার মধ্যে প্রায় ৩৭ জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি গতকাল শনিবার এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
আরো পড়ুন : একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু আজ থেকে
আরো পড়ুন : দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
আরো পড়ুন : তিন ম্যাচে নিষিদ্ধ নেইমার
জানা যায়, ওই দলে বাংলাদেশের ৫১ জনসহ একাধিক দেশের মোট ৭৫ জন অভিবাসী ছিল।
লিবিয়ার বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে বাংলাদেশি মারা যাওয়ার ঘটনাটি তারা জানেন। তবে ওই ঘটনায় কতজন বাংলাদেশি ছিল এবং কতজন বাংলাদেশি মারা গেছেন এই বিষয়ে তাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য নেই।
প্রকৃত ঘটনা জানতে এবং বাংলাদেশিদের উদ্ধার করতে মিশনের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে এবং সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তবে লিবিয়াতে যুদ্ধ চলায় তিউনিশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে মিশন থেকে জানানো হয়।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসী বিষয়ক সংগঠন জানায়, ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে যাওয়ার ওই ঘটনায় শনিবার তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। যার মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি রয়েছে। বাকিদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানী তিউনিস থেকে ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণের সাফাক্স শহরের উপকূলে শরণার্থীদের নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এসব অভিবাসী সাব-সাহারা আফ্রিকা থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে চারজনের বাড়ি সিলেট বলে জানা গিয়েছে। এরা হলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদ পুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫)। একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪) এবং সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪)। এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের দিনপুর গ্রামের আরেকজন নিহত হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায় নি।
নিহত আজিজের ভাই মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার বেলা ৩ টার দিকে তিউনিসিয়া উপকুল থেকে বেঁচে যাওয়া তার চাচা মুয়িদপুর গ্রামের দিলাল ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।