ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দুর্নীতি ও অনিয়ম : গাসিকের ৯ কর্মকর্তা বরখাস্ত, শোকজ ৫

আলোর জগত ডেস্ক :  অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে বরখাস্ত, তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নগর ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরো পড়ুন :  স্বরাষ্ট্রসচিবসহ ৫ জনকে খালেদার লিগ্যাল নোটিশ

১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ছয়জনকে বরখাস্ত, তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মাহবুব আলম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব জহির আলম, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. আক্তার হোসেন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মাহবুবুর রহমান, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. নাদিম হোসেন ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. মুক্তার হোসেন।

সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃতরা হলেন সিটি করোরেশনের টঙ্গী জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. মোজাহিদুল ইসলাম, টঙ্গী জোনের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও গাছা জোনের লাইসেন্স কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল।

এ ছাড়া পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এরা হলেন কর নির্ধারণ কর্মকর্তা আতাউর রসুল ভূইয়া, অফিস সহায়ক সোহেল মিয়া, কর আদায় সহযোগী আবুল কালাম, কামরুজ্জামান ও জমি জরিপ শাখার মো. সাইফুল ইসলাম।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বরখাস্ত করা হবে।

মেয়র বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে নগরীর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি নগর ও নাগরিকদের কিভাবে উন্নত ও আধুনিক সেবা দেওয়া যায়। আমি সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে বলেছি, আপনারা নাগরিকদের সেবা দিন। তারা যেন কোনো অবস্থানেই হয়রানির শিকার না হয়। কারণ নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের সকলের বেতন হয়। নাগরিকদের সেবা দানে যেন কেউ কোনো প্রকার অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত না হন।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে অনেক সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। এর মধ্যে কিছু অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে বারবার সংশোধন হবার সুযোগ দিলেও তারা তাদের অসৎ কাজ থেকে সরে যাননি। তাই আমি সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ ও প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত হয়ে দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

দুর্নীতি ও অনিয়ম : গাসিকের ৯ কর্মকর্তা বরখাস্ত, শোকজ ৫

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে বরখাস্ত, তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নগর ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

আরো পড়ুন :  স্বরাষ্ট্রসচিবসহ ৫ জনকে খালেদার লিগ্যাল নোটিশ

১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ছয়জনকে বরখাস্ত, তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মাহবুব আলম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব জহির আলম, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. আক্তার হোসেন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মাহবুবুর রহমান, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. নাদিম হোসেন ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. মুক্তার হোসেন।

সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃতরা হলেন সিটি করোরেশনের টঙ্গী জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো. মোজাহিদুল ইসলাম, টঙ্গী জোনের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও গাছা জোনের লাইসেন্স কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল।

এ ছাড়া পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এরা হলেন কর নির্ধারণ কর্মকর্তা আতাউর রসুল ভূইয়া, অফিস সহায়ক সোহেল মিয়া, কর আদায় সহযোগী আবুল কালাম, কামরুজ্জামান ও জমি জরিপ শাখার মো. সাইফুল ইসলাম।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বরখাস্ত করা হবে।

মেয়র বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে নগরীর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি নগর ও নাগরিকদের কিভাবে উন্নত ও আধুনিক সেবা দেওয়া যায়। আমি সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে বলেছি, আপনারা নাগরিকদের সেবা দিন। তারা যেন কোনো অবস্থানেই হয়রানির শিকার না হয়। কারণ নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের সকলের বেতন হয়। নাগরিকদের সেবা দানে যেন কেউ কোনো প্রকার অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত না হন।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে অনেক সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। এর মধ্যে কিছু অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে বারবার সংশোধন হবার সুযোগ দিলেও তারা তাদের অসৎ কাজ থেকে সরে যাননি। তাই আমি সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ ও প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত হয়ে দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।