ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মির্জাগঞ্জে জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ০৫ জন গুরুতর আহত

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

 

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ০৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা চিকিৎসার জন্য মির্জাগঞ্জ সদর হাসপাতালে গেলে প্রথমে তাদের সকলকে ভর্তি করলেও মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত ০৩ জনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

খবর নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে ছৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোঃ আদম আলী ফরাজির ছেলেদের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা মমিনদ্দিনের ছেলে চান মিয়ার সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ বিদ্যমান। ২১ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বেলা ১১ ঘটিকার দিকে চান মিয়া তার ছেলেমেয়ে, বোন, ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভগ্নিপতি, আত্মীয়স্বজনসহ ২০/২১ জন লোক নিয়ে মৃত আদম আলী ফরাজির ছেলেদের কলাবাগান কেটে সেখানে ঘর তোলার পায়তারা চালালে মৃত আদম আলী ফরাজির ছেলে সোহরাব ফরাজি(৭০) তাতে বাধা দিতে গেলে চান মিয়া গংরা তার উপরে আক্রমণ করে তাকে ব্যাপকভাবে মারধর করলে তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ফেটে যায় এবং ভেঙে যায়, বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলি ভেঙে যায় এবং কনুই এর উপর থেকে ভেঙে যায়, তার বুকে, পীঠে বেদম পিটিয়ে পাশের গর্তে ফেলে রাখে। তাকে তার পুত্রবধূ মুক্তা আক্তার(৩০) ধরতে গেলে তার মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায় এবং নাকে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে রক্ষা করার জন্য পাশের ঘরের ইউনুসের বউ মুক্তা(৪০) এগিয়ে এলে তাকেও মারাত্মকভাবে পিটিয়ে জখম করে এতে তার বামহাতের একটি আঙ্গুল ভেঙে যায়। খবর পেয়ে ইউনুসের ছেলে তুহিন (২০) এগিয়ে এলে তাকে বুকে, পীঠে চাপা মাইর মেরে মারাত্মক জখম করে। চিল্লাচিল্লি শুনে ক্ষেতের মাঝে কাজ করতে থাকা সোহরাব ফরাজির ছেলে স্বপন ফরাজি(৩৫) দৌড়ে এলে তাকেও মারাত্মক ভাবে পিটিয়ে জখম করে এবং একপর্যায়ে সে বেহুশ হয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মির্জাগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্বপনের স্ত্রী মুক্তা (৩০) এবং ইউনুসের স্ত্রী মুক্তা(৪০) বর্তমানে মির্জাগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সোহরাব ফরাজি(৭০), স্বপন ফরাজি (৩৫) এবং তুহিন(২০) বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মির্জাগঞ্জের আরিফুল স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান

মির্জাগঞ্জে জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ০৫ জন গুরুতর আহত

আপডেট টাইম : ০২:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

 

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ০৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা চিকিৎসার জন্য মির্জাগঞ্জ সদর হাসপাতালে গেলে প্রথমে তাদের সকলকে ভর্তি করলেও মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত ০৩ জনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

খবর নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে ছৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোঃ আদম আলী ফরাজির ছেলেদের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা মমিনদ্দিনের ছেলে চান মিয়ার সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ বিদ্যমান। ২১ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার বেলা ১১ ঘটিকার দিকে চান মিয়া তার ছেলেমেয়ে, বোন, ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভগ্নিপতি, আত্মীয়স্বজনসহ ২০/২১ জন লোক নিয়ে মৃত আদম আলী ফরাজির ছেলেদের কলাবাগান কেটে সেখানে ঘর তোলার পায়তারা চালালে মৃত আদম আলী ফরাজির ছেলে সোহরাব ফরাজি(৭০) তাতে বাধা দিতে গেলে চান মিয়া গংরা তার উপরে আক্রমণ করে তাকে ব্যাপকভাবে মারধর করলে তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ফেটে যায় এবং ভেঙে যায়, বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলি ভেঙে যায় এবং কনুই এর উপর থেকে ভেঙে যায়, তার বুকে, পীঠে বেদম পিটিয়ে পাশের গর্তে ফেলে রাখে। তাকে তার পুত্রবধূ মুক্তা আক্তার(৩০) ধরতে গেলে তার মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায় এবং নাকে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে রক্ষা করার জন্য পাশের ঘরের ইউনুসের বউ মুক্তা(৪০) এগিয়ে এলে তাকেও মারাত্মকভাবে পিটিয়ে জখম করে এতে তার বামহাতের একটি আঙ্গুল ভেঙে যায়। খবর পেয়ে ইউনুসের ছেলে তুহিন (২০) এগিয়ে এলে তাকে বুকে, পীঠে চাপা মাইর মেরে মারাত্মক জখম করে। চিল্লাচিল্লি শুনে ক্ষেতের মাঝে কাজ করতে থাকা সোহরাব ফরাজির ছেলে স্বপন ফরাজি(৩৫) দৌড়ে এলে তাকেও মারাত্মক ভাবে পিটিয়ে জখম করে এবং একপর্যায়ে সে বেহুশ হয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মির্জাগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্বপনের স্ত্রী মুক্তা (৩০) এবং ইউনুসের স্ত্রী মুক্তা(৪০) বর্তমানে মির্জাগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সোহরাব ফরাজি(৭০), স্বপন ফরাজি (৩৫) এবং তুহিন(২০) বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।