ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বরগুনার বেতাগীতে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

বেতাগী ( বরগুনা), আবু জাফর এম. ছালেহ্

 

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ছাত্রজনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দূর্ণীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১০ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় বেতাগী পৌর অডিটোরিয়াম চত্ত্বরে এক গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। বেতাগী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইউসুফ সাহেবের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সেক্রেটারি মাও. মোঃ আব্দুছ ছালাম ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাও. সৈয়দ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন-এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে বরগুনা জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক জিহাদী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আব্দুস শাকুর, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা নুরুল আলম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করীম আকন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আব্দুল খালেক সিকদার, অধ্যক্ষ মাওলানা নাজমুল হুদা, মাওলানা মোঃ আবু তাহের, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল হাই নেছারী, মাওলানা মুনিরুজ্জামান নূরানী, মাওলানা মোঃ ফখরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম ও এইচ এম ইব্রাহীম শিকদার প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- স্বাধীনতার পরে ৫৩ বছর যাবৎ বিভিন্ন দল বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতাসীন ছিল, তখন তারা সবাই কমবেশি দূর্ণীতি, লুটতরাজ, মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জর্জরিত ছিল। আর সকল অপকর্মে চ্যাম্পিয়ন ছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তারা যেকোনো উপায়ে ২০৪১ সাল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতাসীন থাকতে চেয়েছিল যা ফেরাউনও করার দুঃসাহস দেখায়নি। তারা ফেরাউন, নমরুদকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন- গত ০৫ আগস্ট পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে লক্ষলক্ষ বিল্পবীদেরকে নিয়ে ১৪৪ দ্বারা ভঙ্গ করে জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে এদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করেছেন। তাই আগামীতে যেন আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ১৬ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, দেশের সকল সেক্টরকে লুটেপুটে খেয়েছে, এদেশকে লক্ষলক্ষ কোটি টাকা ঋণের তলে ফেলে রেখে পালিয়েছে। তিনি বলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামের মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের নিয়ে সামনে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন, সংগ্রাম চালিয়ে যাবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিগত ১৭ বছর যাবৎ লোকজন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি তাই যুবকরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রার্থীদের ভোট দিয়ে সংসদে প্রেরণ করে একটা বৈষম্য বিরোধী এবং দূর্ণীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করার আহবান জানান। উপস্থিত সমবেত হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বেতাগী উপজেলা শাখার সভাপতি এবং আজকের সমাবেশের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইউসুফ বলেন- মহামারী করোনাকালীন যখন সবাই বন্দী অবস্থায় ছিল, কেউ মারা গেলে জানাজা-দাফন পর্যন্ত দিতে সাহস পেত না তখনও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে জানাজা-দাফন কার্যে অংশগ্রহণ করেছিল। এর দ্বারা প্রমাণ হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা দুর্দিনের বন্ধু। তিনি সবাইকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছায়াতলে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং ভবিষ্যৎ বৈষম্য বিরোধী সুন্দর একটি ইসলামী রাষ্ট্র কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

Tag :

বরগুনার বেতাগীতে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

বরগুনার বেতাগীতে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

আপডেট টাইম : ১০:১১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেতাগী ( বরগুনা), আবু জাফর এম. ছালেহ্

 

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ছাত্রজনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দূর্ণীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১০ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় বেতাগী পৌর অডিটোরিয়াম চত্ত্বরে এক গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। বেতাগী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইউসুফ সাহেবের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সেক্রেটারি মাও. মোঃ আব্দুছ ছালাম ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মাও. সৈয়দ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন-এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে বরগুনা জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক জিহাদী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ আব্দুস শাকুর, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা নুরুল আলম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করীম আকন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আব্দুল খালেক সিকদার, অধ্যক্ষ মাওলানা নাজমুল হুদা, মাওলানা মোঃ আবু তাহের, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল হাই নেছারী, মাওলানা মুনিরুজ্জামান নূরানী, মাওলানা মোঃ ফখরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম ও এইচ এম ইব্রাহীম শিকদার প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- স্বাধীনতার পরে ৫৩ বছর যাবৎ বিভিন্ন দল বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতাসীন ছিল, তখন তারা সবাই কমবেশি দূর্ণীতি, লুটতরাজ, মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জর্জরিত ছিল। আর সকল অপকর্মে চ্যাম্পিয়ন ছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তারা যেকোনো উপায়ে ২০৪১ সাল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতাসীন থাকতে চেয়েছিল যা ফেরাউনও করার দুঃসাহস দেখায়নি। তারা ফেরাউন, নমরুদকেও হার মানিয়েছে। তিনি বলেন- গত ০৫ আগস্ট পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে লক্ষলক্ষ বিল্পবীদেরকে নিয়ে ১৪৪ দ্বারা ভঙ্গ করে জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে এদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করেছেন। তাই আগামীতে যেন আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ১৬ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, দেশের সকল সেক্টরকে লুটেপুটে খেয়েছে, এদেশকে লক্ষলক্ষ কোটি টাকা ঋণের তলে ফেলে রেখে পালিয়েছে। তিনি বলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামের মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের নিয়ে সামনে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন, সংগ্রাম চালিয়ে যাবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিগত ১৭ বছর যাবৎ লোকজন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি তাই যুবকরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রার্থীদের ভোট দিয়ে সংসদে প্রেরণ করে একটা বৈষম্য বিরোধী এবং দূর্ণীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করার আহবান জানান। উপস্থিত সমবেত হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বেতাগী উপজেলা শাখার সভাপতি এবং আজকের সমাবেশের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইউসুফ বলেন- মহামারী করোনাকালীন যখন সবাই বন্দী অবস্থায় ছিল, কেউ মারা গেলে জানাজা-দাফন পর্যন্ত দিতে সাহস পেত না তখনও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে জানাজা-দাফন কার্যে অংশগ্রহণ করেছিল। এর দ্বারা প্রমাণ হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা দুর্দিনের বন্ধু। তিনি সবাইকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছায়াতলে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং ভবিষ্যৎ বৈষম্য বিরোধী সুন্দর একটি ইসলামী রাষ্ট্র কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।