ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক,

 

এমপির পিএসের এর ছত্রছায়া চাঁদাবাজি করতেন তিনি, অভিযোগ ১৭২ জনের,,,,,,,, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম দ্বীন ইসলাম, তিনি মাইটিভি ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার মতলব উত্তর উপজেলা প্রতিনিধি। তার গ্রাম সরদার কান্দি এলাকার ১৭২ জনের গণস্বাক্ষর যুক্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, তার চাঁদাবাজি ও অপকর্মের হাত থেকে রক্ষা পেতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন স্থানীয় এলাকার রুবেল হোসেন। জিডির এজাহারে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি তার কাছ থেকে রাজনৈতিক মারপেঁচে ফেলে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম। মমিন নামে আরেক ব্যক্তির কাছ থেকেও প্রায় এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে শত শত সাধারণ মানুষকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে চাঁদাবাজি করছেন ওই সাংবাদিক। আর এসব অপকর্মে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক এমপি মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মামুন। মূলত তার ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি করেন তিনি। ফরাজি কান্দি ইউনিয়নের মানুষ তার এ অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে গণস্বাক্ষর দিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনওর নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানার জিডির বাদী রুবেল হোসেন বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে কারসাজি, মাদক দিয়ে ভালো যুবকদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি, সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক মারপেঁচে ফেলে চাঁদা দাবি, স্থাপনা নির্মাণে চাঁদাবাজি, প্রশাসনিক কাজে দালালী করতো দ্বীন ইসলাম। গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে মানুষকে এমনভাবে হয়রানি করেছে। আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। সরদার কান্দি গ্রামের শত শত মানুষকে বিপদে ফেলে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা চাঁদা নিয়েছে। এমনকি আমাকে হুমকি ধামকিও দিয়ে যাচ্ছিল। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

ওই গ্রামের ফারুক, সালাউদ্দিন, মমিন, আজিজ সহ আরো কয়েকজন বলেন, এক বছর আগেও তার কিছু ছিল না। মায়া চৌধুরী এমপি হওয়ার পর তার পিএসের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি আর অপকর্ম করে মাত্র ৭ মাসেই কোটিপতি হয়ে গেছে। সাংবাদিকতার আড়ালে দ্বীন ইসলাম এসব অপকর্ম করে প্রকৃত সাংবাদিকদের হেও করছে। সরদার কান্দি তথা ফরাজি কান্দি ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ তার দ্বারা নির্যাতিত। তাই অতি দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Tag :

বরগুনার বেতাগীতে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ।

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,

 

এমপির পিএসের এর ছত্রছায়া চাঁদাবাজি করতেন তিনি, অভিযোগ ১৭২ জনের,,,,,,,, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম দ্বীন ইসলাম, তিনি মাইটিভি ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার মতলব উত্তর উপজেলা প্রতিনিধি। তার গ্রাম সরদার কান্দি এলাকার ১৭২ জনের গণস্বাক্ষর যুক্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, তার চাঁদাবাজি ও অপকর্মের হাত থেকে রক্ষা পেতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন স্থানীয় এলাকার রুবেল হোসেন। জিডির এজাহারে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি তার কাছ থেকে রাজনৈতিক মারপেঁচে ফেলে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম। মমিন নামে আরেক ব্যক্তির কাছ থেকেও প্রায় এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে শত শত সাধারণ মানুষকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে চাঁদাবাজি করছেন ওই সাংবাদিক। আর এসব অপকর্মে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক এমপি মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মামুন। মূলত তার ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি করেন তিনি। ফরাজি কান্দি ইউনিয়নের মানুষ তার এ অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে গণস্বাক্ষর দিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনওর নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানার জিডির বাদী রুবেল হোসেন বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে কারসাজি, মাদক দিয়ে ভালো যুবকদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি, সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক মারপেঁচে ফেলে চাঁদা দাবি, স্থাপনা নির্মাণে চাঁদাবাজি, প্রশাসনিক কাজে দালালী করতো দ্বীন ইসলাম। গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে মানুষকে এমনভাবে হয়রানি করেছে। আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। সরদার কান্দি গ্রামের শত শত মানুষকে বিপদে ফেলে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা চাঁদা নিয়েছে। এমনকি আমাকে হুমকি ধামকিও দিয়ে যাচ্ছিল। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

ওই গ্রামের ফারুক, সালাউদ্দিন, মমিন, আজিজ সহ আরো কয়েকজন বলেন, এক বছর আগেও তার কিছু ছিল না। মায়া চৌধুরী এমপি হওয়ার পর তার পিএসের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি আর অপকর্ম করে মাত্র ৭ মাসেই কোটিপতি হয়ে গেছে। সাংবাদিকতার আড়ালে দ্বীন ইসলাম এসব অপকর্ম করে প্রকৃত সাংবাদিকদের হেও করছে। সরদার কান্দি তথা ফরাজি কান্দি ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ তার দ্বারা নির্যাতিত। তাই অতি দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।