ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মাধবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউ’পির বেঙ্গাডোবা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার সুবাস চন্দ্র পাল’কে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দিকে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

শুক্রবার (১২ই জানুয়ারী) নোয়াপাড়া ইউপির বেঙ্গাডোবা গ্রামের সকাল অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় নারায়ন সিংহ এর বাড়ীর সামনে রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি মৃত জয় চন্দ্র পালের ছেলে পল্লী চিকিৎসক সুবাস চন্দ্র পাল ।

নিহতের স্ত্রী (সুবর্না পাল) বলেন, জমি বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর আপন ভাই শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত চন্দ্র পাল (সনু) এর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আমার স্বামী ও বাসুরা স্থানীয়ভাবে সালিশ করার পর সমাধান না পেয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন।

প্রতিদিনের ন্যায় আমার স্বামী ফার্মেসিতে যাওয়ার পথে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় নারায়ন সিংহ এর বাড়ীর সামনে রাস্তার মোড়ে পৌছা মাত্রই শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত চন্দ্র পাল (সনু) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করে বলে আমি জানাত
পারি আমার বাসুরদের কাছ থেকে।

আমি আমার স্বামী হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয় ইউ’পি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সুহেল জানান, যতটুকু জানি তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এবিষয়ে মাধবপুর থানায় নিশপত্তির চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তক তা হয়নি। নিহত সুবাস চন্দ্র পালে খুবই সাদাসিধা নৈতিকতার জীবন যাপন করত। আমি উক্ত ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মূলত ওই ঘটনার জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি নিহত হয়।

এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান জানান, সুবাস চন্দ্র পাল নামে একজন নিহত হন। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এজহার দায়ের করেছেন, এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মাধবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের

আপডেট টাইম : ০৩:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউ’পির বেঙ্গাডোবা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় একই পরিবারের চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার সুবাস চন্দ্র পাল’কে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দিকে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

শুক্রবার (১২ই জানুয়ারী) নোয়াপাড়া ইউপির বেঙ্গাডোবা গ্রামের সকাল অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় নারায়ন সিংহ এর বাড়ীর সামনে রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি মৃত জয় চন্দ্র পালের ছেলে পল্লী চিকিৎসক সুবাস চন্দ্র পাল ।

নিহতের স্ত্রী (সুবর্না পাল) বলেন, জমি বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর আপন ভাই শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত চন্দ্র পাল (সনু) এর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আমার স্বামী ও বাসুরা স্থানীয়ভাবে সালিশ করার পর সমাধান না পেয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন।

প্রতিদিনের ন্যায় আমার স্বামী ফার্মেসিতে যাওয়ার পথে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় নারায়ন সিংহ এর বাড়ীর সামনে রাস্তার মোড়ে পৌছা মাত্রই শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত চন্দ্র পাল (সনু) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করে বলে আমি জানাত
পারি আমার বাসুরদের কাছ থেকে।

আমি আমার স্বামী হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার চাই।

স্থানীয় ইউ’পি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সুহেল জানান, যতটুকু জানি তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এবিষয়ে মাধবপুর থানায় নিশপত্তির চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তক তা হয়নি। নিহত সুবাস চন্দ্র পালে খুবই সাদাসিধা নৈতিকতার জীবন যাপন করত। আমি উক্ত ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মূলত ওই ঘটনার জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি নিহত হয়।

এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান জানান, সুবাস চন্দ্র পাল নামে একজন নিহত হন। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এজহার দায়ের করেছেন, এই ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।