ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা
রোববার রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ

পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না : ইসলামী আন্দোলন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, গণবিচ্ছিন্ন ফ্যাসিবাদী সরকারের পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। সরকার নির্বাচনের নামে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তামাশার নির্বাচনে ভোট দিতে ভাতাভোগীদের জিম্মি করার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট, পল্টন মোড়, দৈনিকবাংলায় গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, নগর সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম খোকন, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল আহাদ, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া।

একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার একটি জোর-জবরদস্তি ও তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতারা মানুষকে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে। ভোট না দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ থাকবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। এসব হুমকি-ধামকি সরকারের প্রতি মানুষের দৈন্য প্রকাশ পাচ্ছে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিরোধী দল ও মতের কোনো তোয়াক্কা না করে সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এজন্য মানবতাবাদী নেতা পির সাহেব চরমোনাই জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তিনি সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করেছেন। এতে সহিংসতা বন্ধ হয়ে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা হবে।

একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও অবৈধ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবিতে ৩১ ডিসেম্বর (রোববার) রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি ঘোষণা ও তা সফলের আহ্বান জানান তিনি।

ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার ধোঁকাবাজির নির্বাচন করছে। নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসী ধিক্কার জানাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী সবই আওয়ামী লীগ। এভাবে ডামি নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববাসীকে সরকার ধোঁকা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নির্বাচন খেলা বন্ধ করুন। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, অধিকাংশ মানুষ সরকারের প্রহসনের নির্বাচন মানে না, তারা এই নির্বাচন চায় না। আমরাও এই প্রহসনের নির্বাচন চাই না। আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।

বক্তব্যে নেতারা বলেন, নির্বাচনে সরকার কে হবে, তা কেউ জানতে চায় না। সবার প্রশ্ন, বিরোধী দল কে হবে। সরকারের এই তামাশায় মানুষ অংশ নেবে না। এই সরকারকে সহযোগিতা করার কোনো দায় বাংলাদেশের মানুষের নেই। সব বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে সরকার তাদের ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। সরকারের নির্বাচন নামের খেলায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতার কার্ডসহ নানা কার্ড জমা নিয়ে ভাতাভোগীদের জিম্মি করা হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

রোববার রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ

পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না : ইসলামী আন্দোলন

আপডেট টাইম : ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, গণবিচ্ছিন্ন ফ্যাসিবাদী সরকারের পাতানো নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। সরকার নির্বাচনের নামে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তামাশার নির্বাচনে ভোট দিতে ভাতাভোগীদের জিম্মি করার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট, পল্টন মোড়, দৈনিকবাংলায় গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, নগর সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম খোকন, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল আহাদ, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া।

একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সরকার একটি জোর-জবরদস্তি ও তামাশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতারা মানুষকে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে। ভোট না দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ থাকবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। এসব হুমকি-ধামকি সরকারের প্রতি মানুষের দৈন্য প্রকাশ পাচ্ছে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিরোধী দল ও মতের কোনো তোয়াক্কা না করে সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এজন্য মানবতাবাদী নেতা পির সাহেব চরমোনাই জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তিনি সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করেছেন। এতে সহিংসতা বন্ধ হয়ে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা হবে।

একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও অবৈধ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবিতে ৩১ ডিসেম্বর (রোববার) রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি ঘোষণা ও তা সফলের আহ্বান জানান তিনি।

ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার ধোঁকাবাজির নির্বাচন করছে। নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসী ধিক্কার জানাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী সবই আওয়ামী লীগ। এভাবে ডামি নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববাসীকে সরকার ধোঁকা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নির্বাচন খেলা বন্ধ করুন। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, অধিকাংশ মানুষ সরকারের প্রহসনের নির্বাচন মানে না, তারা এই নির্বাচন চায় না। আমরাও এই প্রহসনের নির্বাচন চাই না। আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।

বক্তব্যে নেতারা বলেন, নির্বাচনে সরকার কে হবে, তা কেউ জানতে চায় না। সবার প্রশ্ন, বিরোধী দল কে হবে। সরকারের এই তামাশায় মানুষ অংশ নেবে না। এই সরকারকে সহযোগিতা করার কোনো দায় বাংলাদেশের মানুষের নেই। সব বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে সরকার তাদের ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। সরকারের নির্বাচন নামের খেলায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতার কার্ডসহ নানা কার্ড জমা নিয়ে ভাতাভোগীদের জিম্মি করা হচ্ছে।