আসন্ন সেচ মৌসুমে সেচ পাম্পসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত এই পর্যালোচনা সভায় মোট ১৭টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় জানানো হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সেচ মৌসুম শুরু হয়ে এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলবে। গত সেচ মৌসুমে এপ্রিল মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৬ হাজার মেগাওয়াট। আসন্ন ২০২৪ সালে সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে মোট সেচ সংযোগের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি এবং অপেক্ষমাণ আবেদন সংখ্যা ৯ হাজার ৪৩২টি। শুধু সেচের জন্য জানুয়ারি মাসে ৩৪৭ মেগাওয়াট, ফেব্রুয়ারিতে ৮৬৫ মেগাওয়াট, মার্চে ১ হাজার ৯৪৯ মেগাওয়াট, এপ্রিলে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট, মে মাসে ২ হাজার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
আসন্ন সেচ মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা ১ হাজার ৭৬০ এমএমসিএফডি এবং ন্যূনতম ১ হাজার ৫৪০ এমএমসিএফডি, ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫০ টন এবং ডিজেলের চাহিদা ১৫ হাজার ৬০০ টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়।
সভায় ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলের কোনো ঘাটতি নেই এবং চাহিদা মতো সরবরাহ করা হবে বলে জানায় জ্বালানি বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী যার যার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
পিক-আওয়ার পরিহার করে রাত্র ১১টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অফপিক-আওয়ারে সেচপাম্প ব্যবহারের জন্য প্রচারণা, সঞ্চালন লাইনের প্রয়োজনীয় মেরামত বা সংস্কারে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্র নাথ সরকার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।