টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গোলাগুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এজহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামি ফারুক হোসেন (৪০) ও কামরুলকে (৩৪) রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ ব্যাপারে র্যাব জানায়, গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নের কাঠুয়া এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ একজনের বাবা বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর একটি অভিযানিক দল উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত ফারুক হোসেন (৪০) ও কামরুলকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা এ ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর রোকন, এমদাদ ও সিয়ামসহ ৪-৫ জন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কাঠুয়া যোগনী এলাকায় পৌঁছালে ফারুক ও কামরুলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোকন, এমদাদ ও সিয়ামের অতর্কিত এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এসময় তাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করা হয়।
এ সময় রোকন, এমদাদ ও সিয়ামের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে গ্রেপ্তাররা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এরপর তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের সঙ্গে গ্রেপ্তারদের আগে থেকেই কোন্দল ছিল। এছাড়া, গ্রেপ্তাররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং অতি উৎসাহী হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত করে।
গ্রেপ্তার ফারুক এ ঘটনার পর রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরে উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ইতঃপূর্বে অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছে।
গ্রেপ্তার কামরুল ফারুকের অন্যতম সহযোগী। এ ঘটনার পর সে ফারুকের সঙ্গে উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সে ইতঃপূর্বে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।