ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

অসহযোগ ঘোষণার পর আজ প্রথম অবরোধ, প্রভাব নেই সড়কে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারা দেশে চলছে বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় অবরোধ শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

মূলত, সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর এটি প্রথম দফার এবং সব মিলিয়ে দ্বাদশ দফার অবরোধ কর্মসূচি। যদিও সকাল থেকে অবরোধের কোনো প্রভাব নেই রাজধানীর সড়কগুলোতে। স্বাভাবিকভাবেই সব গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলছে দোকানপাটও। শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য।

সকালে সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই মানুষজনের উপস্থিতি রয়েছে। আর গণপরিবহন চলাচলের হারও স্বাভাবিক। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল এবং রিকশার উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত। এসব এলাকার দোকানপাট, মার্কেট খোলার ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে কার্যক্রম। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ব্যস্ত সময় পার করছেন সড়কে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরা।

সাইন্সল্যাবরেটরি মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, অবরোধের কোনো প্রভাব সড়কে নেই। সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তারা যথারীতি দায়িত্ব পালন করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতোই গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান তারা।

ঢাকা জেলার বাইরে থেকে যেসব বাস, মিনিবাস ভেতরে প্রবেশ করে সেসব বাসের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। সাভার থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা পরিবহনের বাস চালকের সহকারী আব্দুল আউয়াল বলেন, রাস্তাঘাট ফাঁকা। বেশ কয়েক জায়গায় যানজটেও পড়তে হয়েছে। রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি।

স্থানীয় রিকশাচালকরাও বললেন, সকাল থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রীর দেখা পাচ্ছেন তারা।

তবে বরাবরের মতোই সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সংশ্লিষ্ট থানা এবং ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। পাশাপাশি থানা পুলিশকে গাড়ি নিয়েও টহল দিতে দেখা যায়।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশনস) অর্পিত হালদার ঠাকুর বলেন, আমাদের আওতাধীন থানায় কোনো ধরনের কর্মসূচির কোনো খবর আমরা পাইনি। সকাল থেকেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে, পরিস্থিতি সুন্দর ও স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেজন্য আমাদের টহল টিম তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

তবে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই গতকাল রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে, গুলিস্তানে রজনীগন্ধা পরিবহনের বাস, মিরপুর-১৩ নম্বরে ট্রাস্ট পরিবহনের বাস ও কলাবাগানে শিকড় পরিবহনের বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

অসহযোগ ঘোষণার পর আজ প্রথম অবরোধ, প্রভাব নেই সড়কে

আপডেট টাইম : ০১:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারা দেশে চলছে বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় অবরোধ শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

মূলত, সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর এটি প্রথম দফার এবং সব মিলিয়ে দ্বাদশ দফার অবরোধ কর্মসূচি। যদিও সকাল থেকে অবরোধের কোনো প্রভাব নেই রাজধানীর সড়কগুলোতে। স্বাভাবিকভাবেই সব গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলছে দোকানপাটও। শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য।

সকালে সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই মানুষজনের উপস্থিতি রয়েছে। আর গণপরিবহন চলাচলের হারও স্বাভাবিক। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, স্টাফ বাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল এবং রিকশার উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত। এসব এলাকার দোকানপাট, মার্কেট খোলার ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে কার্যক্রম। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ব্যস্ত সময় পার করছেন সড়কে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরা।

সাইন্সল্যাবরেটরি মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, অবরোধের কোনো প্রভাব সড়কে নেই। সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তারা যথারীতি দায়িত্ব পালন করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতোই গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান তারা।

ঢাকা জেলার বাইরে থেকে যেসব বাস, মিনিবাস ভেতরে প্রবেশ করে সেসব বাসের উপস্থিতিও স্বাভাবিক। সাভার থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা পরিবহনের বাস চালকের সহকারী আব্দুল আউয়াল বলেন, রাস্তাঘাট ফাঁকা। বেশ কয়েক জায়গায় যানজটেও পড়তে হয়েছে। রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি।

স্থানীয় রিকশাচালকরাও বললেন, সকাল থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রীর দেখা পাচ্ছেন তারা।

তবে বরাবরের মতোই সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সংশ্লিষ্ট থানা এবং ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। পাশাপাশি থানা পুলিশকে গাড়ি নিয়েও টহল দিতে দেখা যায়।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশনস) অর্পিত হালদার ঠাকুর বলেন, আমাদের আওতাধীন থানায় কোনো ধরনের কর্মসূচির কোনো খবর আমরা পাইনি। সকাল থেকেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে, পরিস্থিতি সুন্দর ও স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেজন্য আমাদের টহল টিম তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

তবে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই গতকাল রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে, গুলিস্তানে রজনীগন্ধা পরিবহনের বাস, মিরপুর-১৩ নম্বরে ট্রাস্ট পরিবহনের বাস ও কলাবাগানে শিকড় পরিবহনের বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।