আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য ও দুর্গম অঞ্চলের এলাকায় হেলিকপ্টারে যাতায়াত করবেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক- ৬ শাখার জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে পার্বত্য-দুর্গম অঞ্চলে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারের প্রয়োজন হবে। সেসব এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য এবং নির্বাচনী দ্রব্যাদি পাঠাতে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে নির্বাচনের কয়েকদিন পর পর্যন্ত হেলিকপ্টার সার্ভিস প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলো নিবিড় টহলের ব্যবস্থা করবে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং যে কোনো প্রকার বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সদা সজাগ থাকার জন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন। উল্লিখিত ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনবোধে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, নির্বাচনের দিন ভোটগণনা শেষ করে রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফলাফল না পৌঁছানো পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভোটগ্রহণের দিন দণ্ডবিধির ১৭১ই ও ১৭১এফ ধারায় বর্ণিত অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ধূমপান হতে বিরত রাখা এবং দিয়াশলাই, লাইটারসহ দাহ্য পদার্থ বহনে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে, ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক হিটার বা যে কোনো ধরনের চুলা ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।