আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রচারণায় এসএমএস তথা ক্ষুদেবার্তা দিয়ে প্রচারণায় প্রার্থীর দলের নাম এবং মার্কা ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি প্রার্থী নির্বাচিত হলে তার এলাকার জনগণের জন্য কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন সেগুলোও উল্লেখ করা যাবে ক্ষুদেবার্তায়। এটুপি এসএমএস এগ্রিগেটর তালিকাভুক্তির নির্দেশিকার অনুচ্ছেদ ১৮.৫ সংশোধন করে এমনই নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলে এসএমএসভিত্তিক প্রচারণার জন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেন প্রার্থীরা। এ সময় জানা যায়, ওই নির্দেশিকার অনুচ্ছেদ ১৮.৫ অনুযায়ী, জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনের কোনো প্রার্থী কোনো নির্দিষ্ট দল ও মার্কা উল্লেখ করে ভোট চেয়ে এসএমএস প্রেরণ করতে পারবে না। তবে এই অনুচ্ছেদে সংশোধনের নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) কমিশনের সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের উপপরিচালক আসিফ ওয়াহিদ স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনাটি এসএমএস সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, সাধারণ এসএমএস প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ অনুসরণপূর্বক দল/ব্যক্তি ও মার্কা উল্লেখ করে ভোট চাওয়ার জন্য এসএমএস প্রেরণ করতে পারবেন। ওই প্রার্থী নির্বাচিত হলে তার এলাকার জনগণের জন্য কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন তাও উল্লেখ করে এসএমএস প্রদান করতে পারবেন। তবে এই নির্দেশিকার অন্যান্য বিষয়াদি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানায় বিটিআরসি।