ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

ইউরোপের দেশ আইসল্যান্ডের রেকজিনাস উপদ্বীপের গ্রিনদাভিকে একটি আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের পর আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বের হয়ে সেগুলো নিচে গড়িয়ে আসে। তবে এই আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে বেঁচে গেছে গ্রিনদাভিকের একমাত্র শহরটি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের শহরটির পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে লাভা। এতে করে শহরটির জীববৈচিত্র্য ও বাড়ি-ঘর বেঁচে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও সেখানে কয়েকমাস মৃদু বা বড় ভূমিকম্প হতে থাকবে।

আইসল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বিমান চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, ২০১০ সালে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট বিশাল ছাই মেঘের কারণে বিমান চলাচলে যেমন বাধা তৈরি হয়েছিল; এবারও তেমনটি হবে।

সোমবার রাতে রেকজানিস উপদ্বীপে আগ্নেয়গিরিটি জেগে ওঠে। এরপর বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে লাভা ছড়িয়ে পড়ে এবং আকাশে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য ধোঁয়া তৈরি হয়। আগ্নেয়গিরিটিতে বিস্ফোরণ হওয়ার আগে সেখানে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভূমিকম্প সংঘটিত হচ্ছিল।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গত মাসে মাছ ধরার শহর গ্রিনদাভিক থেকে ৪ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এটি রাজধানী রেকজাভিক থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম দিকে অবস্থিত।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল; আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ হবে। সে কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হয়েছিল। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা কমে আসায়, সেখানে আবারও বাসিন্দাদের ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠায় বাসিন্দাদের নিজ বাড়িতে ফিরতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ইউরোপের দেশ আইসল্যান্ডের রেকজিনাস উপদ্বীপের গ্রিনদাভিকে একটি আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের পর আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বের হয়ে সেগুলো নিচে গড়িয়ে আসে। তবে এই আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে বেঁচে গেছে গ্রিনদাভিকের একমাত্র শহরটি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের শহরটির পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে লাভা। এতে করে শহরটির জীববৈচিত্র্য ও বাড়ি-ঘর বেঁচে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও সেখানে কয়েকমাস মৃদু বা বড় ভূমিকম্প হতে থাকবে।

আইসল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বিমান চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, ২০১০ সালে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট বিশাল ছাই মেঘের কারণে বিমান চলাচলে যেমন বাধা তৈরি হয়েছিল; এবারও তেমনটি হবে।

সোমবার রাতে রেকজানিস উপদ্বীপে আগ্নেয়গিরিটি জেগে ওঠে। এরপর বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে লাভা ছড়িয়ে পড়ে এবং আকাশে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য ধোঁয়া তৈরি হয়। আগ্নেয়গিরিটিতে বিস্ফোরণ হওয়ার আগে সেখানে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভূমিকম্প সংঘটিত হচ্ছিল।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গত মাসে মাছ ধরার শহর গ্রিনদাভিক থেকে ৪ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এটি রাজধানী রেকজাভিক থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম দিকে অবস্থিত।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল; আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ হবে। সে কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের সরানো হয়েছিল। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা কমে আসায়, সেখানে আবারও বাসিন্দাদের ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠায় বাসিন্দাদের নিজ বাড়িতে ফিরতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।