নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণের ৫ম ও ৬ষ্ঠ কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ বিভাগের সচিবের নিকট ঋণের ৫ম ও ৬ষ্ঠ কিস্তি বাবদ ৩১৫ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ টাকা পরিশোধের চালান হস্তান্তর করে সেতু কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় গণভবনে পদ্মাসেতুর ঋণের কিস্তির টাকা হস্তান্তর করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সচিব, অর্থ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ। গত ২০২২ সালের ২৬ জুলাই সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশোধিত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ১% সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে ৪টি কিস্তি করে সর্বমোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদ-আসল পরিশোধ করা হবে।
এছাড়া, সেতুর ডিটেইল ডিজাইনের জন্য এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ২টি ঋণ চুক্তির আওতায় ২% সুদে মোট ১৭ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার স্পেশাল ড্রয়িং রাইট (এসডিআর) ঋণ নেওয়া হয়েছে। যা বছরে ৪টি কিস্তি করে মোট ৬০টি কিস্তিতে সুদ-আসলসহ মোট ২ কোটি ৮০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩০ টাকা পরিশোধ করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ১ম ও ২য় কিস্তির মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা এবং ১৯ জুন ৩য় ও ৪র্থ কিস্তির ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের এ ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।