মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে হামলা, মামলা ও উচ্ছেদের পাঁয়তারার অভিযোগ এনেছে বিএনপি নেতা মামুনের পরিবার। এবিষয়ে জুড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামুনের পরিবার। বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে জুড়ী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামুনের মা রহিমা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে মামুনের মা রহিমা বেগম অভিযোগ করেন, তাদের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তার স্বামী মোস্তফা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। তার ছেলে মামুন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুক আহমদ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার স্বামী, ছেলে ও পরিবারকে অতর্কিত হামলা, মিথ্যা মামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুক আহমদ সরকার দলীয় আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন। নৌকা প্রতীকের সাথে আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তার স্বামী মোস্তফা। নির্বাচনের পর সোমবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামীলীগ নেতা মাসুক আহমদ ও তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসী দল তার স্বামীর উপর অতর্কিত হামলা করে। এ হামলায় মারাত্মক আহত হন তার স্বামী মোস্তফা। জুড়ী শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে গেলে তাদের মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। উল্টো পুলিশ দিয়ে মোস্তফার পরিবারকে হুমকি দুমকি দেন আওয়ামী লীগের ওই সন্ত্রাসীরা। এদিকে সন্ত্রাসী হামলার পরদিন মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসীরা। মূলত তাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য এ ধরনের হামলা চালানো হয়।
তিনি আরো বলেন, তার স্বামী মোস্তফা ও ছেলে মামুন সহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। তারা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছেনা। বর্তমানে এই পরিবারটি বাড়ি ছাড়া। তার ছেলে মামুন দেশে-বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মামুনের স্ত্রী এবং সন্তান পালাতক। তাদের পরিবারের সবাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই সরকার এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বাঁচতে দেবে না। যার কারনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে বিষয়টি জানালেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে, আমরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারিনা। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা বলেন, এসব ঘটনা শুনেছি, তবে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি, এবিষয়ে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।