ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যারা অপরাধ করেছেন তারাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিনা অপরাধে ও বিনা পরোয়ানায় আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বলেছেন, গত ২৩ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯৫৬ জন। প্রতিদিন প্রায় সমান সংখ্যকই জামিন পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী আটক হয়েছে। এছাড়া, মুখোশ পরা বাহিনীও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার পরিস্থিতি আপনি কীভাবে দেখছেন? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি কী ভুলে গেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার ভুয়া মামলা দায়ের করেছিল তারা। যেগুলোর কোনো অস্তিত্ব ছিল না, সেগুলো আপনারা কী ভুলে গেছেন।’

এ সময় বিএনপিকে প্রধান বিরোধী দল বলায় আপত্তি তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রধান বিরোধী দল না। জাতীয় সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তাদেরকে একটি রাজনৈতিক দল বলুন।’

আপনারা এসবের বিচার করেছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব মামলার কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ ছিল না, যে কারণে এর অনেকগুলো মামলাই বাতিল হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিংবা র‌্যাব যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা অগ্নিসংযোগ করেছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারা আমাদের কতগুলো নেতাকে হত্যা করেছে, সেগুলো বুঝি মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে না! এগুলোকে যদি মানবাধিকারের পর্যায়ে নিয়ে আসা হতো, তাহলে তার একটি সদুত্তর আপনারা পেতেন।’

‘সেদিন (২৮ অক্টোবর তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে গিয়েছিল। যা আপনাদের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। সেগুলো তো এক-দুজন করেননি, কয়েক হাজার লোক সেখানে ছিল। তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে গিয়েছিল। তারা পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যকে হত্যা করেছে। তাদের হামলায় সাংবাদিকরা পুলিশ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে তাদের পেটানো হয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সভায় আমাদের নারী কর্মীরা যাচ্ছিল, তাদেরকে পৈশাচিকভাবে পেটানো হয়েছে। সেগুলো দেখলে আপনার চোখে জল এসে যেত। প্রশ্ন করার সময়, সেগুলো তুলে ধরলে আমার মনে একটু প্রশান্তি আসবে যে আপনি একদিকে কথা বলেন না। আপনার চোখ চতুর্দিকে খোলা রাখলে আরও সুন্দর করে প্রশ্ন করতে পারবেন।’

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যারা অপরাধ করেছেন তারাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিনা অপরাধে ও বিনা পরোয়ানায় আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বলেছেন, গত ২৩ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯৫৬ জন। প্রতিদিন প্রায় সমান সংখ্যকই জামিন পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী আটক হয়েছে। এছাড়া, মুখোশ পরা বাহিনীও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার পরিস্থিতি আপনি কীভাবে দেখছেন? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি কী ভুলে গেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার ভুয়া মামলা দায়ের করেছিল তারা। যেগুলোর কোনো অস্তিত্ব ছিল না, সেগুলো আপনারা কী ভুলে গেছেন।’

এ সময় বিএনপিকে প্রধান বিরোধী দল বলায় আপত্তি তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রধান বিরোধী দল না। জাতীয় সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তাদেরকে একটি রাজনৈতিক দল বলুন।’

আপনারা এসবের বিচার করেছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এসব মামলার কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ ছিল না, যে কারণে এর অনেকগুলো মামলাই বাতিল হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিংবা র‌্যাব যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা অগ্নিসংযোগ করেছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারা আমাদের কতগুলো নেতাকে হত্যা করেছে, সেগুলো বুঝি মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে না! এগুলোকে যদি মানবাধিকারের পর্যায়ে নিয়ে আসা হতো, তাহলে তার একটি সদুত্তর আপনারা পেতেন।’

‘সেদিন (২৮ অক্টোবর তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে গিয়েছিল। যা আপনাদের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। সেগুলো তো এক-দুজন করেননি, কয়েক হাজার লোক সেখানে ছিল। তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে গিয়েছিল। তারা পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যকে হত্যা করেছে। তাদের হামলায় সাংবাদিকরা পুলিশ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে তাদের পেটানো হয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সভায় আমাদের নারী কর্মীরা যাচ্ছিল, তাদেরকে পৈশাচিকভাবে পেটানো হয়েছে। সেগুলো দেখলে আপনার চোখে জল এসে যেত। প্রশ্ন করার সময়, সেগুলো তুলে ধরলে আমার মনে একটু প্রশান্তি আসবে যে আপনি একদিকে কথা বলেন না। আপনার চোখ চতুর্দিকে খোলা রাখলে আরও সুন্দর করে প্রশ্ন করতে পারবেন।’