গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ হতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি/জামায়ত এর নেতাকর্মীরা অবরোধের নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনা, এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহন ভাংচুর ও ককটেল নিক্ষেপ/দাহ্য পদার্থ দ্বারা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এমনকি গত ২৮/১০/২০২৩ খ্রিঃ তারিখের নারকীয় তাণ্ডবে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাসহ সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দুপুরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর ও ফতুল্লা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার মামলা নং-০৭ তারিখ-০৫/১১/২০২৩ খ্রিঃ; ধারা-১৪৩/৩৪১/১৪৭/ ১৪৮/১৪৯/৩০৭/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/৩৪ দন্ডবিধি ১৮৬০ তৎসহ বিস্ফোরক উৎপাদানাবলী আইন ১৯০৮ এর ৩/৪ ধারা ; মামলার এজাহার ভুক্ত পলাতক আসামী ১। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নূর হোসেন নুরু (৬৭), পিতা-মৃত আব্দুল আলী, সাং-নতুন বক্তারচর, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, ২। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ আফজাল হোসেন শিকদার (৬৪), পিতা-মৃত আবুল হোসেন শিকদার, সাং-দক্ষিণ বাঘৈর, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৩। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোঃ সালাউদ্দিন (৫৯), পিতা-মৃত আকবর আলী, সাং-কাউটাইল, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা বিভিন্ন সময় নাশকতার পরিকল্পনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। এছাড়াও তারা ইতোপূর্বে কেরাণীগঞ্জ, রাজধানীর কদমতলী, যাত্রাবাড়ী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাড়ী ভাংচুর, বাসে অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন প্রকার নাশকতা মূলক কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।