ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

মৈমনসিংহ গীতিকার অমর প্রেম কাহিনী “মহুয়া পালা” হৃদয় স্পর্শ করে আজও

মৈমনসিংহ গীতিকায় এবং উত্তরবঙ্গ গীতিকায় যে কয়টি পালা হয়েছে তার মধ্যে মহুয়া পালা অন্যতম ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীনেশচন্দ্র্র সেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা থেকে স্থানীয় সংগ্রাহকদের সহায়তায় প্রচলিত স্থানীয় পালাগানগুলো সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে ১৯২৩ সালে “মৈমনসিংহ গীতিকা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন।
মহুয়া পালায় জমিদারের দেওয়ান নদের চাঁদের সাথে বেদে কন্যা মহুয়ার ছিলো প্রেম। প্রেমের জন্য মহুয়া নিজের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হননি।

মহুয়া পালার কাহিনী যুগে যুগে মানুষের মন জয় করে। অমর প্রেম গাঁথা এই পালাগুলো যুগের থাকে আঙ্গিক পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে নাটক, গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যের ঢংয়ে মঞ্চায়িত হচ্ছে।

১৬৫০ সালের দিকে দ্বিজ কানাই এটি রচনা করেন।এর প্রধান চরিত্র হলো মহুয়া ও নদের চাঁদ। বলা হয়ে থাকে, মহুয়া ও নদের চাঁদ নামক দুটি বাস্তব চরিত্রের অমর প্রেমকাহিনীর উপর ভিত্তিকরেই গীতিকাটি রচিত হয়েছিল।

বন্দনাগীতি দিয়ে শুরু করা এই প্রাচীন পালায়, ১৬ বছর আগে ধনু নদীর পাড়ে কাঞ্চনপুর গ্রাামের এক ব্রাহ্মণের ছয় মাসের কন্যাকে চুরি করে আনে সেই “ছয় মাসের শিশু কইন্যা পরমা সুন্দরী।
রাত্রি নিশাকালে হুমরা তারে করণ চুরি।।”
ঘুরতে ঘুরতে একদিন কাঞ্চনপুর গ্রামে উপস্থিত হয় হুমরা বাইদ্ধার দল। সেখান থেকে এক ছয় মাসের এক ফুটফুটে শিশু কন্যাকে চুরি করে নিয়ে আসে হুমরা বাইদ্যা তাদের কাছেই বড় হতে থাকে আর তাদের জীবনযাত্রার সাথেই অভ্যস্থ হয়ে উঠে সেই শিশু কন্যাটি। এভাবেই কেটে যায় ১৬ বছর।এই মেয়েটিই গল্পের নায়িকা “মহুয়া”।
অতঃপর একদিন হুমরা বাইদ্যা তার দলবল নিয়ে খেলা দেখাতে হাজির হয় বামনকান্দা গ্রাামে। নদের চাঁদ ঠাকুরের বাড়িতে খেলা দেখানোর ডাক পায় তারা,সেখানেই মহুয়াকে ভালো লেগে যায় নদেরচাঁদ ঠাকুরের। সেই গ্রাামেই বসত তৈরির অনুমতি পায় তারা। ধীরে ধীরে বেদে কন্যা মহুয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নদেরচাঁদ ঠাকুরের। কিন্তু হুমরা বাইদ্যা তা জেনে যায়, তাই রাতের আধারে সবাইকে নিয়ে গ্রাাম ছেড়ে চলে যায় তারা।

মহুয়ার গ্রাাম ছেড়ে চলে যাওয়ার খবর শুনে পাগলের মত হয়ে যায়! মহুয়াকে খুজে বের করার,অতঃপর তীর্থযাত্রার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে।পথে পথে খুজে বেড়ায় মহুয়াকে,কেটে যায় অনেকদিন।একদিন ঠিকই মহুয়া কে খুজে পায় সে।আর অতিথি হিসেবে আশ্রয় নেয় মহুয়াদের বাড়িতেই! কিন্তু হুমরা বেদে ঠিকই চিনে ফেলে তাকে।তাইতো নদেরচাঁদ কে জাদুকর আখ্যায়িত করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য মহুয়ার হাতে বিষ মিশ্রিত ছুরি তুলে দেয় সে!

“এই ছুরি লইয়া তুমি যাও নদীর পারে
শুইয়া আছে নদীয়ার ঠাকুর মাইরা আইস তারে।।
ষোল বছর পাললাম কন্যা কত দুঃখ করি।
আমার কথা রাখ তুমি মহুয়া সুন্দরী।।
হাতে ছুরি তুলে নেয় মহুয়া,এগিয়ে যায় নদেরচাঁদ ঠাকুরের দিকে। যাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে এসেছে এতকাল,ভাবনায় যে সারাক্ষণ বাস করতো তাকে কি নিজ হাতে মারা যায়? যায় না!
গ্রাাম ছেড়ে পালিয়ে যায় দুজন!কিন্তু পালিয়ে গিয়ে কি ভালোবাসার সুখের নীড় তৈরি করতে পারে তারা?
হুমরা বাইদ্যা নদের চাঁদের হত্যা করতে বলে তখন সে দলপতির আদেশ অমান্য করতে পারেনি বিষাক্ত ছুরায় সে দিলো নিজের প্রাণ,সুজন বাইদ্যার ছুরাঘাতেও প্রাণ যায় নদের চাঁদের প্রাচীন কালের যুগল প্রেমের বাস্তব এই অমর কাহিনী কত শত বছর পরেও মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে।

‘মহুয়া পালায় তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে নিখুত ভাবে। এই রক্ষণশীল সমাজই বেদে কন্যা মহুয়া সুন্দরী ও জমিদারের সুদর্শন পরুষ নদের চাঁদের ভালোবাসায়, বার-বার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কোনো বাধাই দু’জনের মধ্যে আত্মিক দূরত্ব দৃষ্টি করতে পারেনি। দু’জনে আত্মহুতির মাধ্যমে প্রমাণ করেছে ভালোবাসা চিরন্তন। সেই সাথে মধ্যযুগীয় সমাজে সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার এবং সংস্কৃতিগত দিক থেকে, উচু ও নিচ শ্রেণির মানুষের জীবনসীমার যে ব্যবধান ছিল তারই প্রমাণ এখানে সুস্পষ্ট হয়েছে এই পালায় । এছাড়াও ‘মহুয়া পালায় নারীজাগরণে তীব্র অনুপ্রেরণায় তৎকালীন সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে।
মহুয়া পালাগানে ৭৮৯ ছত্র আছে, যেগুলোকে ২৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়।

ময়মনসিংহের নাট্যকর্মী আবুল মুনসর বলেন, সাড়ে ৩শ’ বছর আগের ইতিহাস। আমরা যদি এখানে ব্যর্থ হয়ে যাই তাহলে পরের প্রজন্ম যারা আসছে তারা কিন্তু এই মহুয়া পালা নিয়ে কাজ করতে পারবে না। তাই ময়ময়মনসিংহ গীতিকার যে কয়টি পালা আছে তা নতুন প্রজন্মেও কাছে তুলে ধরতে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন।

প্রাচীন এই পালায় নৃত্যনাট্য মহুয়া”র চরিত্রে অভিনেত্রী,ভালুকা সৃষ্টি শিল্পকলা একাডেমীর,পরিচালক জিসানুর জাহিন সুচি জানায়, মহুয়ার টিম গঠন করে ২টি সফল মঞ্চায়নের পর অর্থ সংকটে সেটি আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তার দাবী ময়মনসিংহের নিজস্ব এই ঐহিয্য সংস্কৃতির পালা গুলো সমৃদ্ধ করতে দরকার সরকারের প্রচেষ্টা তেমনি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার।

আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

মৈমনসিংহ গীতিকার অমর প্রেম কাহিনী “মহুয়া পালা” হৃদয় স্পর্শ করে আজও

আপডেট টাইম : ০৪:২১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

মৈমনসিংহ গীতিকায় এবং উত্তরবঙ্গ গীতিকায় যে কয়টি পালা হয়েছে তার মধ্যে মহুয়া পালা অন্যতম ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীনেশচন্দ্র্র সেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা থেকে স্থানীয় সংগ্রাহকদের সহায়তায় প্রচলিত স্থানীয় পালাগানগুলো সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে ১৯২৩ সালে “মৈমনসিংহ গীতিকা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন।
মহুয়া পালায় জমিদারের দেওয়ান নদের চাঁদের সাথে বেদে কন্যা মহুয়ার ছিলো প্রেম। প্রেমের জন্য মহুয়া নিজের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হননি।

মহুয়া পালার কাহিনী যুগে যুগে মানুষের মন জয় করে। অমর প্রেম গাঁথা এই পালাগুলো যুগের থাকে আঙ্গিক পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে নাটক, গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যের ঢংয়ে মঞ্চায়িত হচ্ছে।

১৬৫০ সালের দিকে দ্বিজ কানাই এটি রচনা করেন।এর প্রধান চরিত্র হলো মহুয়া ও নদের চাঁদ। বলা হয়ে থাকে, মহুয়া ও নদের চাঁদ নামক দুটি বাস্তব চরিত্রের অমর প্রেমকাহিনীর উপর ভিত্তিকরেই গীতিকাটি রচিত হয়েছিল।

বন্দনাগীতি দিয়ে শুরু করা এই প্রাচীন পালায়, ১৬ বছর আগে ধনু নদীর পাড়ে কাঞ্চনপুর গ্রাামের এক ব্রাহ্মণের ছয় মাসের কন্যাকে চুরি করে আনে সেই “ছয় মাসের শিশু কইন্যা পরমা সুন্দরী।
রাত্রি নিশাকালে হুমরা তারে করণ চুরি।।”
ঘুরতে ঘুরতে একদিন কাঞ্চনপুর গ্রামে উপস্থিত হয় হুমরা বাইদ্ধার দল। সেখান থেকে এক ছয় মাসের এক ফুটফুটে শিশু কন্যাকে চুরি করে নিয়ে আসে হুমরা বাইদ্যা তাদের কাছেই বড় হতে থাকে আর তাদের জীবনযাত্রার সাথেই অভ্যস্থ হয়ে উঠে সেই শিশু কন্যাটি। এভাবেই কেটে যায় ১৬ বছর।এই মেয়েটিই গল্পের নায়িকা “মহুয়া”।
অতঃপর একদিন হুমরা বাইদ্যা তার দলবল নিয়ে খেলা দেখাতে হাজির হয় বামনকান্দা গ্রাামে। নদের চাঁদ ঠাকুরের বাড়িতে খেলা দেখানোর ডাক পায় তারা,সেখানেই মহুয়াকে ভালো লেগে যায় নদেরচাঁদ ঠাকুরের। সেই গ্রাামেই বসত তৈরির অনুমতি পায় তারা। ধীরে ধীরে বেদে কন্যা মহুয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নদেরচাঁদ ঠাকুরের। কিন্তু হুমরা বাইদ্যা তা জেনে যায়, তাই রাতের আধারে সবাইকে নিয়ে গ্রাাম ছেড়ে চলে যায় তারা।

মহুয়ার গ্রাাম ছেড়ে চলে যাওয়ার খবর শুনে পাগলের মত হয়ে যায়! মহুয়াকে খুজে বের করার,অতঃপর তীর্থযাত্রার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে।পথে পথে খুজে বেড়ায় মহুয়াকে,কেটে যায় অনেকদিন।একদিন ঠিকই মহুয়া কে খুজে পায় সে।আর অতিথি হিসেবে আশ্রয় নেয় মহুয়াদের বাড়িতেই! কিন্তু হুমরা বেদে ঠিকই চিনে ফেলে তাকে।তাইতো নদেরচাঁদ কে জাদুকর আখ্যায়িত করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য মহুয়ার হাতে বিষ মিশ্রিত ছুরি তুলে দেয় সে!

“এই ছুরি লইয়া তুমি যাও নদীর পারে
শুইয়া আছে নদীয়ার ঠাকুর মাইরা আইস তারে।।
ষোল বছর পাললাম কন্যা কত দুঃখ করি।
আমার কথা রাখ তুমি মহুয়া সুন্দরী।।
হাতে ছুরি তুলে নেয় মহুয়া,এগিয়ে যায় নদেরচাঁদ ঠাকুরের দিকে। যাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে এসেছে এতকাল,ভাবনায় যে সারাক্ষণ বাস করতো তাকে কি নিজ হাতে মারা যায়? যায় না!
গ্রাাম ছেড়ে পালিয়ে যায় দুজন!কিন্তু পালিয়ে গিয়ে কি ভালোবাসার সুখের নীড় তৈরি করতে পারে তারা?
হুমরা বাইদ্যা নদের চাঁদের হত্যা করতে বলে তখন সে দলপতির আদেশ অমান্য করতে পারেনি বিষাক্ত ছুরায় সে দিলো নিজের প্রাণ,সুজন বাইদ্যার ছুরাঘাতেও প্রাণ যায় নদের চাঁদের প্রাচীন কালের যুগল প্রেমের বাস্তব এই অমর কাহিনী কত শত বছর পরেও মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে।

‘মহুয়া পালায় তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে নিখুত ভাবে। এই রক্ষণশীল সমাজই বেদে কন্যা মহুয়া সুন্দরী ও জমিদারের সুদর্শন পরুষ নদের চাঁদের ভালোবাসায়, বার-বার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কোনো বাধাই দু’জনের মধ্যে আত্মিক দূরত্ব দৃষ্টি করতে পারেনি। দু’জনে আত্মহুতির মাধ্যমে প্রমাণ করেছে ভালোবাসা চিরন্তন। সেই সাথে মধ্যযুগীয় সমাজে সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার এবং সংস্কৃতিগত দিক থেকে, উচু ও নিচ শ্রেণির মানুষের জীবনসীমার যে ব্যবধান ছিল তারই প্রমাণ এখানে সুস্পষ্ট হয়েছে এই পালায় । এছাড়াও ‘মহুয়া পালায় নারীজাগরণে তীব্র অনুপ্রেরণায় তৎকালীন সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে।
মহুয়া পালাগানে ৭৮৯ ছত্র আছে, যেগুলোকে ২৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়।

ময়মনসিংহের নাট্যকর্মী আবুল মুনসর বলেন, সাড়ে ৩শ’ বছর আগের ইতিহাস। আমরা যদি এখানে ব্যর্থ হয়ে যাই তাহলে পরের প্রজন্ম যারা আসছে তারা কিন্তু এই মহুয়া পালা নিয়ে কাজ করতে পারবে না। তাই ময়ময়মনসিংহ গীতিকার যে কয়টি পালা আছে তা নতুন প্রজন্মেও কাছে তুলে ধরতে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন।

প্রাচীন এই পালায় নৃত্যনাট্য মহুয়া”র চরিত্রে অভিনেত্রী,ভালুকা সৃষ্টি শিল্পকলা একাডেমীর,পরিচালক জিসানুর জাহিন সুচি জানায়, মহুয়ার টিম গঠন করে ২টি সফল মঞ্চায়নের পর অর্থ সংকটে সেটি আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তার দাবী ময়মনসিংহের নিজস্ব এই ঐহিয্য সংস্কৃতির পালা গুলো সমৃদ্ধ করতে দরকার সরকারের প্রচেষ্টা তেমনি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার।