ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

চঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এছাড়াও বিভিন্ন হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনপূর্বক হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের নিকট সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর এলাকায় এক তরুণী প্রেমিকের সাথে পালাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকারের ঘটনাটি বিভিন্ন গনমাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচারিত হলে দেশব্যপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৩ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল গতরাতে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকার একটি ইটের ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুর থেকে পালিয়ে আসা আলোচিত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ এর অন্যতম প্রধান আসামি ১। মোঃ সাব্বির হোসেন (২৭), পিতা-মোঃ আসাদুল হক এবং ২। মোঃ রাব্বি (২৬), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান হবি, উভয় সাং-চিরিরবন্দর রেলওয়ে কলোনী, থানা-চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুরদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মামলার সূত্রে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,ভিকটিম তরুণীর প্রেমিক মাসুমের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ তাদের পরিবারকে জানায়। তাদের পরিবার এ সম্পর্কে সম্মতি দিবে না বলে জানালে তারা একইদিন রাত ০৯৩০ ঘটিকার সময় পালিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। স্টেশনে পৌঁছানোর পরপরই তারা ধর্ষকদের কুনজরে পড়ে। স্টেশনে তখন অপেক্ষমান কোন ট্রেন না পেয়ে তারা পায়ে হেঁটে ঘুঘুরাতলী নামক এলাকায় পৌঁছে সেখান হতে ইজিবাইকযোগে দিনাজপুরের দিকে রওনা করে। এদিকে ধৃত ধর্ষকদ্বয় এবং তাদের অপরাপর সহযোগীরা ভিকটিম ও তার প্রেমিককে অনুসরণ করে কিছুদূর যাওয়ার পর মাঝরাস্তায় পথরোধ করে জোরপূর্বক দুজনকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিম তরুণী এবং প্রেমিক মাসুমকে তারা মারধর করে আলাদা দুইটি কক্ষে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে প্রেমিক মাসুম কৌশলে সেখান হতে পালিয়ে চিরিরবন্দর থানার দিকে দৌড় দেয়। অপরদিকে ধৃত ধর্ষকদ্বয়সহ মামলার অপর আসামিরা একে একে পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে নির্মাণাধীন ভবনটির পাশের ধানক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে প্রেমিক মাসুমের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবার ও চিরিরবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এঘটনায় চিরিরবন্দর থানায় ১৫/১১/২০২৩ তারিখ ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে ধৃত সাব্বির ও রাব্বিসহ মোট ০৪ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

চঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩

আপডেট টাইম : ০৫:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এছাড়াও বিভিন্ন হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনপূর্বক হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতার করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের নিকট সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর এলাকায় এক তরুণী প্রেমিকের সাথে পালাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকারের ঘটনাটি বিভিন্ন গনমাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচারিত হলে দেশব্যপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৩ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল গতরাতে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকার একটি ইটের ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুর থেকে পালিয়ে আসা আলোচিত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ এর অন্যতম প্রধান আসামি ১। মোঃ সাব্বির হোসেন (২৭), পিতা-মোঃ আসাদুল হক এবং ২। মোঃ রাব্বি (২৬), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান হবি, উভয় সাং-চিরিরবন্দর রেলওয়ে কলোনী, থানা-চিরিরবন্দর, জেলা-দিনাজপুরদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

মামলার সূত্রে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,ভিকটিম তরুণীর প্রেমিক মাসুমের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ তাদের পরিবারকে জানায়। তাদের পরিবার এ সম্পর্কে সম্মতি দিবে না বলে জানালে তারা একইদিন রাত ০৯৩০ ঘটিকার সময় পালিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে চিরিরবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। স্টেশনে পৌঁছানোর পরপরই তারা ধর্ষকদের কুনজরে পড়ে। স্টেশনে তখন অপেক্ষমান কোন ট্রেন না পেয়ে তারা পায়ে হেঁটে ঘুঘুরাতলী নামক এলাকায় পৌঁছে সেখান হতে ইজিবাইকযোগে দিনাজপুরের দিকে রওনা করে। এদিকে ধৃত ধর্ষকদ্বয় এবং তাদের অপরাপর সহযোগীরা ভিকটিম ও তার প্রেমিককে অনুসরণ করে কিছুদূর যাওয়ার পর মাঝরাস্তায় পথরোধ করে জোরপূর্বক দুজনকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিম তরুণী এবং প্রেমিক মাসুমকে তারা মারধর করে আলাদা দুইটি কক্ষে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে প্রেমিক মাসুম কৌশলে সেখান হতে পালিয়ে চিরিরবন্দর থানার দিকে দৌড় দেয়। অপরদিকে ধৃত ধর্ষকদ্বয়সহ মামলার অপর আসামিরা একে একে পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে নির্মাণাধীন ভবনটির পাশের ধানক্ষেতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে প্রেমিক মাসুমের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের পরিবার ও চিরিরবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এঘটনায় চিরিরবন্দর থানায় ১৫/১১/২০২৩ তারিখ ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে ধৃত সাব্বির ও রাব্বিসহ মোট ০৪ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।