ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ফিলিস্তিনের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণ ও সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ফিলিস্তিনিদের

সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণীতে ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদাপূর্ণ জীবন সার্বভৌম মাতৃভূমি নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবিক সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বার্তায় বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসের গৌরবময় উপলক্ষ্যে আমি ফিলিস্তিনি জনগণ ও সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে সবসময় স্বাধীনতা, শান্তি এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশ।’

তিনি বলেন, যুদ্ধ শান্তি আনতে পারে না বরং যুদ্ধ ধ্বংস এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটুট সমর্থন রয়েছে।

বাংলাদেশ কখনোই বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন সমর্থন করে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশিত এবং আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নীতি অনুযায়ী আমরা সবসময় ধর্মনিরপেক্ষতা ও শান্তির আদর্শ অনুসরণ করি।

গাজায় আবাসিক এলাকা ও হাসপাতালগুলোতে অব্যাহত নৃশংস বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ, এতে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

আমরা গাজা ও ফিলিস্তিনে সামগ্রিকভাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রতিটি সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ সর্বদা ফিলিস্তিনের জনগণ ও সরকারের পাশে আছে।’

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিয়ে ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানীসহ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান করার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্ম নিয়ন্ত্রণ অধিকার ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার নিরঙ্কুশ অধিকারের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বর্তমানে যে যুদ্ধ চালিয়েছে তা হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সম্মিলিত শাস্তির সমতুল্য এবং ইসরালে কর্তৃক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধের এবং সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ফিলিস্তিনের জনগণ ন্যায়বিচার ও প্রতিকার পাওয়ার দাবি রাখে যা শুধুমাত্র অব্যাহত দখলদারিত্বের মধ্যে বসবাসরত ফিলিস্তিনের জনগণের আত্ম নিয়ন্ত্রণ অধিকার সহ একটি ন্যায্য সমাধান নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী একটি সার্বভৌম স্বদেশে, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা জোরদার এবং কার্যকর ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ফিলিস্তিনের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

আপডেট টাইম : ১২:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণ ও সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ফিলিস্তিনিদের

সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণীতে ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদাপূর্ণ জীবন সার্বভৌম মাতৃভূমি নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবিক সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বার্তায় বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসের গৌরবময় উপলক্ষ্যে আমি ফিলিস্তিনি জনগণ ও সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে সবসময় স্বাধীনতা, শান্তি এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশ।’

তিনি বলেন, যুদ্ধ শান্তি আনতে পারে না বরং যুদ্ধ ধ্বংস এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাদের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটুট সমর্থন রয়েছে।

বাংলাদেশ কখনোই বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন সমর্থন করে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশিত এবং আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নীতি অনুযায়ী আমরা সবসময় ধর্মনিরপেক্ষতা ও শান্তির আদর্শ অনুসরণ করি।

গাজায় আবাসিক এলাকা ও হাসপাতালগুলোতে অব্যাহত নৃশংস বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ, এতে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

আমরা গাজা ও ফিলিস্তিনে সামগ্রিকভাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রতিটি সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ সর্বদা ফিলিস্তিনের জনগণ ও সরকারের পাশে আছে।’

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিয়ে ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানীসহ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান করার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্ম নিয়ন্ত্রণ অধিকার ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার নিরঙ্কুশ অধিকারের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বর্তমানে যে যুদ্ধ চালিয়েছে তা হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সম্মিলিত শাস্তির সমতুল্য এবং ইসরালে কর্তৃক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধের এবং সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ফিলিস্তিনের জনগণ ন্যায়বিচার ও প্রতিকার পাওয়ার দাবি রাখে যা শুধুমাত্র অব্যাহত দখলদারিত্বের মধ্যে বসবাসরত ফিলিস্তিনের জনগণের আত্ম নিয়ন্ত্রণ অধিকার সহ একটি ন্যায্য সমাধান নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী একটি সার্বভৌম স্বদেশে, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা জোরদার এবং কার্যকর ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।