ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা
অধ্যক্ষকে অবরোদ্ধ করে ক্ষুব্ধ

ভালুকায় এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদাসিনতার কারণে রোল নম্বরে গড়মিল হওয়ায় ভালুকার একটি কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে অভিভাবকরা। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে

ময়মনসিংহের ভালুকায় শতভাগ পাশের নিশ্চয়তা পেয়ে ভর্তি হওয়া এইচএসসির শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে ২৭ নভেম্বর (সোমবার) সকালে ভালুকা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এবং ভালুকা মর্নিংসান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। উপজেলা প্রশাসন ও ভালুকা মডেল থানা পুলিলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আলোর জগতকে জানায়, শতভাগ পাশের নিশ্চয়তা দিয়ে ভালুকা মর্নিং সান মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ফরম পূরনের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। তারা নিয়মানুযায়ী প্রবেশপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। গত রবিবার (২৬ নভেম্বর) ফলাফল প্রকাশের দিন তারা প্রতিষ্ঠানে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে নতুন রোল নম্বর সম্বলিত আরেকটি প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেন।

মনিং সান স্কুল এন্ড কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীরা জানায়, অধ্যক্ষের শতভাগ পাশের নিশ্চয়তার আশা পেয়ে অন্য কলেজ থেকে এসে তারা এখানে ফরম পূরণ করেন। যথারীতি তারা প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষা দেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের আগের দিন তাদেরকে নতুন রোল নম্বর সম্বলিত প্রবেশ পত্র প্রদান করা হয়।

উক্ত কলজের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বিশ্বাসের রোল নম্বর ৪০৯০৬৩শুভ নামের আরেক শিক্ষার্থী ৪০৯০৬১ রোল নম্বর সম্বলিত প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের একদিন আগে তাদের নতুন রোল নম্বর সম্বলিত প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়। নতুন প্রবেশপত্রে এই দুই পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ৭০৯০৬৩( আবু সাঈদ বিশ্বাস) এবং ৭০৯০৬১(শুভ)। তাদের দুইজনের পূর্বের রোল নম্বরে ফলাফল জানতে সার্চ দিলেও নিজের নামের পরিবর্তে সুসং দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের কোনো এক শিক্ষার্থীর নাম আসে। তেমনি এই প্রতিষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরদের একই অবস্থা।

মর্নিং সান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জুয়েল শতভাগ পাশের নিশ্চয়তার কথাটি অস্বীকার করে বলেন, বোর্ড নিয়মের বাইরে কোনো টাকা নেয়নি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহমেদ জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি নিয়ে অধ্যক্ষকে দ্রুত শিক্ষাবোর্ডে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধানের নির্দেশ দেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে এ নিয়ে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা না করে সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের কথা জানতে পেরে বিকেলে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে ভালুকা মর্নিং সান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বসি। পরে ইউএনও এবং ওসির উপস্থিতিতে আগামী দুদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

অধ্যক্ষকে অবরোদ্ধ করে ক্ষুব্ধ

ভালুকায় এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা

আপডেট টাইম : ০১:২৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদাসিনতার কারণে রোল নম্বরে গড়মিল হওয়ায় ভালুকার একটি কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে অভিভাবকরা। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে

ময়মনসিংহের ভালুকায় শতভাগ পাশের নিশ্চয়তা পেয়ে ভর্তি হওয়া এইচএসসির শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে ২৭ নভেম্বর (সোমবার) সকালে ভালুকা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এবং ভালুকা মর্নিংসান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। উপজেলা প্রশাসন ও ভালুকা মডেল থানা পুলিলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আলোর জগতকে জানায়, শতভাগ পাশের নিশ্চয়তা দিয়ে ভালুকা মর্নিং সান মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ফরম পূরনের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। তারা নিয়মানুযায়ী প্রবেশপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। গত রবিবার (২৬ নভেম্বর) ফলাফল প্রকাশের দিন তারা প্রতিষ্ঠানে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে নতুন রোল নম্বর সম্বলিত আরেকটি প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেন।

মনিং সান স্কুল এন্ড কলেজের ফেল করা শিক্ষার্থীরা জানায়, অধ্যক্ষের শতভাগ পাশের নিশ্চয়তার আশা পেয়ে অন্য কলেজ থেকে এসে তারা এখানে ফরম পূরণ করেন। যথারীতি তারা প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষা দেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের আগের দিন তাদেরকে নতুন রোল নম্বর সম্বলিত প্রবেশ পত্র প্রদান করা হয়।

উক্ত কলজের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বিশ্বাসের রোল নম্বর ৪০৯০৬৩শুভ নামের আরেক শিক্ষার্থী ৪০৯০৬১ রোল নম্বর সম্বলিত প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের একদিন আগে তাদের নতুন রোল নম্বর সম্বলিত প্রবেশপত্র প্রদান করা হয়। নতুন প্রবেশপত্রে এই দুই পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ৭০৯০৬৩( আবু সাঈদ বিশ্বাস) এবং ৭০৯০৬১(শুভ)। তাদের দুইজনের পূর্বের রোল নম্বরে ফলাফল জানতে সার্চ দিলেও নিজের নামের পরিবর্তে সুসং দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের কোনো এক শিক্ষার্থীর নাম আসে। তেমনি এই প্রতিষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীরদের একই অবস্থা।

মর্নিং সান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জুয়েল শতভাগ পাশের নিশ্চয়তার কথাটি অস্বীকার করে বলেন, বোর্ড নিয়মের বাইরে কোনো টাকা নেয়নি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহমেদ জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি নিয়ে অধ্যক্ষকে দ্রুত শিক্ষাবোর্ডে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধানের নির্দেশ দেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে এ নিয়ে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা না করে সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের কথা জানতে পেরে বিকেলে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে ভালুকা মর্নিং সান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বসি। পরে ইউএনও এবং ওসির উপস্থিতিতে আগামী দুদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানে অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।