ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডলার সংকটে ২১ টি ব্যাংক

  • অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

দেশের ২১ ব্যাংক ডলার সংকটে রয়েছে। তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে। তবে সার্বিকভাবে ডলারের সংকট নেই। কারণ ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুত রয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে ডলারের দাম ব্যাংকগুলো কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের ডলার সংকট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপ জানানোর জন্য এ সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মুখপাত্র জানান, বাফেদা রপ্তানি-রেমিট্যান্স ও আমদানি সব ক্ষেত্রেই ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়েছে। এতে করে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার মান বাড়বে। যেটা এতদিন ছিল উল্টোমুখী। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ডলার চাহিদা কমে এসেছে এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ অতি নগণ্যতে নেমে আসবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র জানান, আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার আছে। পক্ষান্তরে সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংকের গ্রাহক চাইলেও চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। তাই তারা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ কারণেই কখনো কখনো অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলারের বাজারে। কতগুলো ব্যাংক সংকটে আছে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ২১ ব্যাংকের ডলার সংকটে আছে। এর বিপরীতে ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুত আছে। তবে মুখপাত্র ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।

রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। প্রয়োজন হলে দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই।

মেজবাউল হক বলেন, দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো দুটি। আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং অন্যটি সেবামূল্য পরিশোধ। দুই জায়গাতেই আমরা চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। কারণ আমরা অলরেডি বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছি। পাশাপাশি এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্র খোলার হার কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলে তার বেশিরভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডলার সংকটের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতি ও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে গতকাল (বুধবার) প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এমন এক সময়ে ডলারের দর কমানো হয়েছে যখন ১২১ থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকায়।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ডলার সংকটে ২১ টি ব্যাংক

আপডেট টাইম : ০৬:৩০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

দেশের ২১ ব্যাংক ডলার সংকটে রয়েছে। তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে। তবে সার্বিকভাবে ডলারের সংকট নেই। কারণ ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুত রয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে ডলারের দাম ব্যাংকগুলো কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের ডলার সংকট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপ জানানোর জন্য এ সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মুখপাত্র জানান, বাফেদা রপ্তানি-রেমিট্যান্স ও আমদানি সব ক্ষেত্রেই ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়েছে। এতে করে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের টাকার মান বাড়বে। যেটা এতদিন ছিল উল্টোমুখী। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ডলার চাহিদা কমে এসেছে এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ অতি নগণ্যতে নেমে আসবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র জানান, আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার আছে। পক্ষান্তরে সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংকের গ্রাহক চাইলেও চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। তাই তারা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ কারণেই কখনো কখনো অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলারের বাজারে। কতগুলো ব্যাংক সংকটে আছে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ২১ ব্যাংকের ডলার সংকটে আছে। এর বিপরীতে ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলার মজুত আছে। তবে মুখপাত্র ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।

রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। প্রয়োজন হলে দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই।

মেজবাউল হক বলেন, দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো দুটি। আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং অন্যটি সেবামূল্য পরিশোধ। দুই জায়গাতেই আমরা চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। কারণ আমরা অলরেডি বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছি। পাশাপাশি এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্র খোলার হার কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলে তার বেশিরভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডলার সংকটের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতি ও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে গতকাল (বুধবার) প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এমন এক সময়ে ডলারের দর কমানো হয়েছে যখন ১২১ থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকায়।