ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সংকটের মধ্যেও কমলো ডলারের দাম

ডলার সংকটে আমদানি এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ডলারের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের ধারে ধারে ঘুরছেন আমদানিকারকরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১১০ টাকা। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এ দর বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

বৈঠক প্রসঙ্গে বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, প্রায় এক বছর পর ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা সুসংবাদ বলা যায়। রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।

কমানোর কারণ হিসেবে তিনি জানান, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসছে। চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) ঘাটতি ছিল তবে এখন উদ্বৃত্ত হয়ে গেছে। তাই ডলারের দাম বাড়ার কারণ নেই; আর বাজারে ডলারের যে সংকট দেখা যাচ্ছে তা কৃত্রিম বলে দাবি করেন আফজাল করিম।

ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, আমদানির দায় পরিশোধে ডলারের দাম ছিল ১১১ টাকা। আর প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এবার ৫০ পয়সা করে কমিয়ে ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।

নির্ধারিত দামের সঙ্গে রেমিট্যান্সে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেবে ব্যাংকগুলো। তবে কোনো ব্যাংক চাইলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা দিতে পারবে।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সংকটের মধ্যেও কমলো ডলারের দাম

আপডেট টাইম : ০৬:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

ডলার সংকটে আমদানি এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ডলারের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের ধারে ধারে ঘুরছেন আমদানিকারকরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১১০ টাকা। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এ দর বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

বৈঠক প্রসঙ্গে বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, প্রায় এক বছর পর ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা সুসংবাদ বলা যায়। রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।

কমানোর কারণ হিসেবে তিনি জানান, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসছে। চলতি হিসাবে (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স) ঘাটতি ছিল তবে এখন উদ্বৃত্ত হয়ে গেছে। তাই ডলারের দাম বাড়ার কারণ নেই; আর বাজারে ডলারের যে সংকট দেখা যাচ্ছে তা কৃত্রিম বলে দাবি করেন আফজাল করিম।

ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, আমদানির দায় পরিশোধে ডলারের দাম ছিল ১১১ টাকা। আর প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এবার ৫০ পয়সা করে কমিয়ে ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।

নির্ধারিত দামের সঙ্গে রেমিট্যান্সে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেবে ব্যাংকগুলো। তবে কোনো ব্যাংক চাইলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা দিতে পারবে।