ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মানুষ পুড়িয়ে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের অকল্যাণ করে কিছু অর্জন করা যায় না। একদল মানুষ অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে মানুষকে পোড়াতে পারে তারা! এভাবে কিছু অর্জন করা যায় না। তাদের চেতনা ফিরে আসুক।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এ বীরশ্রেষ্টদের উত্তরাধিকারী ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পাঁচজন সেনা, তিনজন নৌ ও তিনজন বিমান বাহিনীর সদস্যদের শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা ধরনের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সেসব অতিক্রম করছি। আরও সচেতন হতে হবে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেখানে গণকবর আছে সেগুলিকে সংরক্ষিত করতে হবে। স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা জায়গা দিয়েছি, সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করে দিচ্ছি। সেখানে একটা জায়গা থাকবে বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য, একটা মিউজিয়াম হবে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে পারবে, স্মৃতিচারণ করতে পারবে। সেই ধরনের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও পোড়াও মানুষের জীবনটাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কিভাবে জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মারে। সেটা দেখেছিলাম একাত্তর সালে। পকিস্তানী হানাদারবাহিনীরা যা করতো, বস্তিতে আগুন দিতো, মানুষ বেড়িয়ে আসলে সাঙ্গে সঙ্গে গুলি করে মেরে ফেলে দিতো। আর এরপরে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০১৩-১৪ সালে, আবার এই এখন ইদানিং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে? এটাই দুঃখজনক। এদের চেতনা হোক সেটাই আমি চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের অগ্রযাত্রা শুরু হবে। তার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। কারণ নানা ধারণের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চলে। এগুলোর উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা এ পর্যন্ত আগাতে পেরেছি। অন্তত এটুকু বলতে পারি। ১৫ বছরে বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আর এই ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের উন্নয়নটা শুধু মাত্র শহর ভিত্তিক না, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির ধারা অব্যহত রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি ছেলেমেয়ে যাতে উন্নত জীবন পায়, সে লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে সবসময় মাথায় রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা একটি বিজয়ী জাতি। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা।

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মানুষ পুড়িয়ে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:২৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের অকল্যাণ করে কিছু অর্জন করা যায় না। একদল মানুষ অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে মানুষকে পোড়াতে পারে তারা! এভাবে কিছু অর্জন করা যায় না। তাদের চেতনা ফিরে আসুক।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এ বীরশ্রেষ্টদের উত্তরাধিকারী ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পাঁচজন সেনা, তিনজন নৌ ও তিনজন বিমান বাহিনীর সদস্যদের শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা ধরনের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সেসব অতিক্রম করছি। আরও সচেতন হতে হবে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেখানে গণকবর আছে সেগুলিকে সংরক্ষিত করতে হবে। স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা জায়গা দিয়েছি, সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করে দিচ্ছি। সেখানে একটা জায়গা থাকবে বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য, একটা মিউজিয়াম হবে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে পারবে, স্মৃতিচারণ করতে পারবে। সেই ধরনের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও পোড়াও মানুষের জীবনটাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কিভাবে জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মারে। সেটা দেখেছিলাম একাত্তর সালে। পকিস্তানী হানাদারবাহিনীরা যা করতো, বস্তিতে আগুন দিতো, মানুষ বেড়িয়ে আসলে সাঙ্গে সঙ্গে গুলি করে মেরে ফেলে দিতো। আর এরপরে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০১৩-১৪ সালে, আবার এই এখন ইদানিং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে? এটাই দুঃখজনক। এদের চেতনা হোক সেটাই আমি চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের অগ্রযাত্রা শুরু হবে। তার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। কারণ নানা ধারণের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চলে। এগুলোর উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা এ পর্যন্ত আগাতে পেরেছি। অন্তত এটুকু বলতে পারি। ১৫ বছরে বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আর এই ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের উন্নয়নটা শুধু মাত্র শহর ভিত্তিক না, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির ধারা অব্যহত রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি ছেলেমেয়ে যাতে উন্নত জীবন পায়, সে লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে সবসময় মাথায় রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা একটি বিজয়ী জাতি। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা।