বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে চলেনি দূরপাল্লার যানবাহন। রাজধানীর সড়কেও সীমিত ছিল যান চলাচল। সর্বশেষ হরতাল কর্মসূচি শেষে চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৮টার পর থেকে রাজধানীর সড়কে ছিল যানবাহনের চাপ, কোথাও কোথাও দেখা গেছে যানজট। সড়কের এক লেন ক্লিয়ার করতেই আরেক লেনে যানবাহনের চাপ তৈরি হয়। একেকটি সিগনাল পার হতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অতিবাহিত হতে দেখা যায়। পল্টন, কাকরাইল ও সচিবালয় এলাকার সড়কে দেখা গেছে যানজট।
কাকরাইল ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যদিনের তুলনায় সড়কে চাপ বেড়েছে যানবাহনের। সিগনাল ছাড়াও সড়কগুলোতে দীর্ঘ জট লেগে থাকতে দেখা যায়।
তবে রাজধানীর আগারগাঁও, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, তেজগাঁও সড়কের মহাখালী-বনানীমুখী রুট গতিশীল দেখা যায়। তবে কারওয়ান বাজার-শাহবাগমুখী রুটে যানবাহনের তীব্র চাপ দেখা যায়।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, অবরোধ-হরতালে সড়কে যানবাহনের চাপ কমে যায়। আজ কোনো অবরোধ বা হরতাল কর্মসূচি নেই। সড়কে তাই অত্যধিক গাড়ির চাপ। বিশেষ করে অফিসে যাওয়ার সময়ে যানবাহনের চাপ রূপ নিচ্ছে যানজটে। আবার পল্টন, মতিঝিল ও সচিবালয় এলাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মনোনয়ন ফরম তোলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শোডাউনের কারণে সড়কে যানজট লেগে আছে।
কাকরাইল মোড় পার হয়ে প্রেস ক্লাবের আগে যানজটে পড়েন সাদিকুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী। তিনি বলেন, ২০ মিনিটে আগারগাঁও থেকে এখানে এসেছি। এখানে আসার পর সামনে-পেছনে যানজট লেগে গেছে। বের হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।
আনোয়ার হোসেন নামে এক সিএনজি যাত্রী তেজগাঁওয়ে সিগনালে দাঁড়িয়ে বলেন, উত্তরা থেকে গুলিস্তান যাওয়ার উদ্দেশে এসেছি। উত্তরা থেকে বেশ দ্রুতই এসেছি মহাখালী। এরপর যেন সিএনজি আর চলছে না। মহাখালী আমতলী থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পর হতেই আধা ঘণ্টা। সামনে কি অবস্থা বুঝতে পারছি না।
তবে মোহাম্মদপুর থেকে আসা প্রাইভেটকার চালক হোসেন আলী বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে রওনা হয়ে শ্যামলী ইউটার্ন নিয়ে আগারগাঁও পার হতে বেগ পেতে হয়েছে। এরপর আগারগাঁও থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে বিজয় সরণি, তেজগাঁও হয়ে কাকরাইল আসতে সিগনালে আটকা পড়েছি। তবে যানজট মনে হয়নি। পল্টন আসার পর যানজটে পড়েছি।