আজ ১৯শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। উক্ত দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের উদ্দেশ্যে ইন্টারন্যাশনাল মেন্স রাইটস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সকাল ১০:৩০ মিনিট ঘটিকার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুরুষ দিবস উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “পারিবারিক সহিংসতা ও আইনি জটিলতায় পুরুষ নির্যাতন বন্ধ হোক”। উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। যা সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন অত্র সংগঠনের মহাসচিব- মোঃ ইয়াসিন, অর্থ সম্পাদক- ইমদাদুল হক মিলন সহ কেন্দ্রীয় সদস্যগন ও ঢাকা মহানগর কমটির যুগ্ন আহবায়ক ঝিনুক। আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক সৈয়দ নিলয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ মাজেদ ইবনে আজাদ। উল্লেখ্য ঢাকা সহ অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে পুরুষ দিবস পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পুরুষ নির্যাতন দমন ও পরকিয়া রোধ বন্ধে সকলের সচেতনতা দরকার, মিথ্যা যৌতুক মামলায় তদন্ত ব্যতীত কোন পুরুষকে গ্রেপ্তার না করার কথা বলেন। পারিবারিক সহিংসতা ও আইনি জটিলতায় পুরুষ নির্যাতন বন্ধ হোক এই দাবি করেন।
সংগঠনের আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দা রিয়াসমিন মিলা জজকোর্ট ঢাকা, যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বার্তায় উঠে আসে ,আমরা জাতীয় পত্রিকা সমীক্ষায় দেখেছি ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার। অনেক পুরুষ স্বীকার করে, আবার অনেকে অশান্তি সন্মানের ভয়ে স্বীকার করে না। বর্তমানে নারী নির্যাতনের যে মামলা গুলো হয় তার মধ্যে অনেক মামলা মিথ্যা। বিশ্ব পুরুষ দিবসে পুরুষ নির্যাতন আইন এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এড. ইব্রাহিম খলিল (ইবু) তার মুঠোফোন বার্তায় বলেন নারী নির্যাতনের চিত্র আমাদের সামনে আসে, কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের চিত্র গুলো বিবেকের সেন্সরে ছাড়পত্র পায়না। তাই কারো সামনেও আসেনা। পুরুষ নির্যাতনের আইন নেই এটাই কি কারন? এর জন্যে চাপা পরে আছে লক্ষ কোটি অভিযোগ ও পুরুষ নির্যাতনের গল্প।।
পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।