ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :

পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি, দালাল খরচ না দিলে হয় না কমতি

আজ খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস এর গ্রাহক ভোগান্তির কথা জানতে পেরে  আমাদের খুলনা জেলা প্রতিনিধি পাসপোর্ট অফিসের সামনে গিয়ে নিউজ সংগ্রহ করে।

সেখানে গিয়ে আমাদের জেলা প্রতিনিধি জানতে পারে উক্ত পাসপোর্ট অফিসে দালালের ভোগান্তি রয়েছে চরম শীর্ষে। দালাল ছাড়া পাসপোর্ট জমা দিতে গেলে একাধিকবার পাসপোর্ট এ ভুল ধরে পাসপোর্ট এর আবেদন রিফিউজ করা হচ্ছে।

উক্ত অফিসের সামনে চায়ের দোকানে আমাদের জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় একজন পাইকগাছা নিবাসী মোহাম্মদ লুৎফার সাহেবের সঙ্গে। তিনি জানান যে আজ তিনদিন ধরে তার পাসপোর্ট এর আবেদন জমা দিতে এসে বারবার ছোট ছোট ভুলত্রুটির কারণে তার আবেদনকে বাতিল করে দিচ্ছে। প্রথম দিন তার আবেদনের সঙ্গে তার বাবা-মার আইডি কার্ডের মূলকপি না থাকার কারণে তার আবেদনটি গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি তার নিজ বাড়ি পাইকগাছা গিয়ে পুনরায় তার বাবা-মায়ের আইডি কার্ডটির মূলকপি এনে লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্ট আবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তী দিন তাকে বলা হয় যে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর ফি জমা করেছেন। অবশ্যই উক্ত পাসপোর্ট ফি এর ভাউচার ব্যাংক থেকে এখানে জমা করতে হবে। ব্যাংক থেকে উক্ত ভাউচার আনতে আনতে উক্ত ব্যক্তির বেলা ১২ টা বেজে যায় বেজে যায়। বেলা ১২ টা বাজার পরে খুলনা পাসপোর্ট অফিসে আর কোন আবেদন জমা নেওয়া হয় না। যার কারনে সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় দিনও তার পাসপোর্ট এর আবেদনটি জমা করতে ব্যর্থ হয়।  তৃতীয় দিন পাসপোর্ট জমা দিতে গেলে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তোলার ডেট দেওয়া হয় ২৪ দিন পরে গিয়ে।

তখন সেই ব্যক্তিদের তার মনের কষ্টে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সামনে চায়ের দোকানে গিয়ে চা খেতে বসে একজন দালালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়।  উক্ত দালাল জানায় যে আজকের মধ্যেই আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ব্যবস্থা ছবি তোলার ব্যবস্থা করে দেওয়া যাবে। তার জন্য উক্ত দালালকে ২৫০০ টাকা দিতে হবে।  তখন সেই ব্যক্তি চিন্তা করে দেখল যে বারবার খুলনাটু পাইকগাছা প্রায় ১২০ কিঃ পথ বারবার আপ ডাউন করার থেকে দালালকে পাসপোর্ট জমা দেয়ার জন্য একবারে ২৫০০ টাকা দিয়ে দালালকে দিয়ে আজকের মধ্যে পাসপোর্ট এর ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট টি জমা দিয়ে যাওয়াটাই ভালো।  কারণ বারবার পাসপোর্ট অফিসে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এবং কাজকর্ম ফেলে বারবার খুলনা আসার থেকে একবারে দালালকে ২৫০০ টাকা দিয়ে দিনে দিনে পাসপোর্ট এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি তুলে যাওয়াটাই ভালো মনে হয়।

উক্ত দালালের প্রস্তাবের সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তি রাজি হলে তখন দালাল তার পাসপোর্ট আবেদন ফরমের উপরের টপ সিট ছিড়ে নতুন করে আরেকটি টপ শিট প্রিন্ট করে আনে। তখন উক্ত দালাল উক্ত আবেদনটি নিয়ে অফিসের ভিতরে গিয়ে তার লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগের আধা ঘন্টা পরে আমাকে নিয়ে চলে যায় ছবি তোলা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর রুমে এবং এভাবে উক্ত ব্যক্তিকে তার পাসপোর্ট জমাদানের কাজ সম্পন্ন করে।

উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে তার তিনদিন পাইকগাছা থেকে খুলনা আসতে যেতে এবং তার দুপুর বেলা খাবার সহকারে বিভিন্ন কাজে-কর্মে তার প্রায় ৫০০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ পড়ে যায়। অপরদিকে উক্ত ব্যক্তিটি গত তিন দিন ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও বসতে পারেনি।

তাই আমরা সাধারণ জনগণ চাই যেন খুব সহজে সেবা পেতে পারে এবং খুব সহজে তারা পাসপোর্ট পেতে পারে সে ব্যাপারে সরকার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দালালের প্রবণতা থেকে থেকে পাসপোর্ট অফিসকে মুক্ত করার জন্য ও পাসপোর্ট অফিসের ভোগান্তি কমানোর জন্য সরকার প্রশাসনের কাছে বিনীত নিবেদন জানাচ্ছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার চেক হস্তান্ত, সাবেক এম পি নুরুল আমিন রুহুল

পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি, দালাল খরচ না দিলে হয় না কমতি

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

আজ খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস এর গ্রাহক ভোগান্তির কথা জানতে পেরে  আমাদের খুলনা জেলা প্রতিনিধি পাসপোর্ট অফিসের সামনে গিয়ে নিউজ সংগ্রহ করে।

সেখানে গিয়ে আমাদের জেলা প্রতিনিধি জানতে পারে উক্ত পাসপোর্ট অফিসে দালালের ভোগান্তি রয়েছে চরম শীর্ষে। দালাল ছাড়া পাসপোর্ট জমা দিতে গেলে একাধিকবার পাসপোর্ট এ ভুল ধরে পাসপোর্ট এর আবেদন রিফিউজ করা হচ্ছে।

উক্ত অফিসের সামনে চায়ের দোকানে আমাদের জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় একজন পাইকগাছা নিবাসী মোহাম্মদ লুৎফার সাহেবের সঙ্গে। তিনি জানান যে আজ তিনদিন ধরে তার পাসপোর্ট এর আবেদন জমা দিতে এসে বারবার ছোট ছোট ভুলত্রুটির কারণে তার আবেদনকে বাতিল করে দিচ্ছে। প্রথম দিন তার আবেদনের সঙ্গে তার বাবা-মার আইডি কার্ডের মূলকপি না থাকার কারণে তার আবেদনটি গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি তার নিজ বাড়ি পাইকগাছা গিয়ে পুনরায় তার বাবা-মায়ের আইডি কার্ডটির মূলকপি এনে লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্ট আবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তী দিন তাকে বলা হয় যে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর ফি জমা করেছেন। অবশ্যই উক্ত পাসপোর্ট ফি এর ভাউচার ব্যাংক থেকে এখানে জমা করতে হবে। ব্যাংক থেকে উক্ত ভাউচার আনতে আনতে উক্ত ব্যক্তির বেলা ১২ টা বেজে যায় বেজে যায়। বেলা ১২ টা বাজার পরে খুলনা পাসপোর্ট অফিসে আর কোন আবেদন জমা নেওয়া হয় না। যার কারনে সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় দিনও তার পাসপোর্ট এর আবেদনটি জমা করতে ব্যর্থ হয়।  তৃতীয় দিন পাসপোর্ট জমা দিতে গেলে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তোলার ডেট দেওয়া হয় ২৪ দিন পরে গিয়ে।

তখন সেই ব্যক্তিদের তার মনের কষ্টে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সামনে চায়ের দোকানে গিয়ে চা খেতে বসে একজন দালালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়।  উক্ত দালাল জানায় যে আজকের মধ্যেই আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ব্যবস্থা ছবি তোলার ব্যবস্থা করে দেওয়া যাবে। তার জন্য উক্ত দালালকে ২৫০০ টাকা দিতে হবে।  তখন সেই ব্যক্তি চিন্তা করে দেখল যে বারবার খুলনাটু পাইকগাছা প্রায় ১২০ কিঃ পথ বারবার আপ ডাউন করার থেকে দালালকে পাসপোর্ট জমা দেয়ার জন্য একবারে ২৫০০ টাকা দিয়ে দালালকে দিয়ে আজকের মধ্যে পাসপোর্ট এর ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট টি জমা দিয়ে যাওয়াটাই ভালো।  কারণ বারবার পাসপোর্ট অফিসে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এবং কাজকর্ম ফেলে বারবার খুলনা আসার থেকে একবারে দালালকে ২৫০০ টাকা দিয়ে দিনে দিনে পাসপোর্ট এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি তুলে যাওয়াটাই ভালো মনে হয়।

উক্ত দালালের প্রস্তাবের সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তি রাজি হলে তখন দালাল তার পাসপোর্ট আবেদন ফরমের উপরের টপ সিট ছিড়ে নতুন করে আরেকটি টপ শিট প্রিন্ট করে আনে। তখন উক্ত দালাল উক্ত আবেদনটি নিয়ে অফিসের ভিতরে গিয়ে তার লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগের আধা ঘন্টা পরে আমাকে নিয়ে চলে যায় ছবি তোলা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর রুমে এবং এভাবে উক্ত ব্যক্তিকে তার পাসপোর্ট জমাদানের কাজ সম্পন্ন করে।

উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে তার তিনদিন পাইকগাছা থেকে খুলনা আসতে যেতে এবং তার দুপুর বেলা খাবার সহকারে বিভিন্ন কাজে-কর্মে তার প্রায় ৫০০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ পড়ে যায়। অপরদিকে উক্ত ব্যক্তিটি গত তিন দিন ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও বসতে পারেনি।

তাই আমরা সাধারণ জনগণ চাই যেন খুব সহজে সেবা পেতে পারে এবং খুব সহজে তারা পাসপোর্ট পেতে পারে সে ব্যাপারে সরকার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দালালের প্রবণতা থেকে থেকে পাসপোর্ট অফিসকে মুক্ত করার জন্য ও পাসপোর্ট অফিসের ভোগান্তি কমানোর জন্য সরকার প্রশাসনের কাছে বিনীত নিবেদন জানাচ্ছি।